ভারী বর্ষণের ফলে নেপালে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। ভেঙে পড়েছে সেতু। গত ৩৬ ঘন্টায় কমপক্ষে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর জিও নিউজের।
পুলিশ জানিয়েছে, ভারতের পূর্ব সীমান্তবর্তী ইলাম জেলায় পৃথক ভূমিধসে ১৮ জন মারা গেছে। দক্ষিণ নেপালে বজ্রপাতে তিনজন এবং পূর্ব নেপালের উদয়পুর জেলায় বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে গত শনিবার থেকে ১১ জন বন্যায় ভেসে গেছে। এখনো তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে উঠেছে বন্যার পানি। যার ফলে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন।
ভারী বর্ষণের কারণে ব্যাহত হচ্ছে বিমান চলাচল। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের মুখপাত্র রিঞ্জি শেরপা বলেছেন, ‘অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল মূলত ব্যাহত হয়েছে, তবে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্বাভাবিকভাবে রয়েছে।’
দক্ষিণ-পূর্ব নেপালে কোশি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনসারী জেলার জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র কুমার মিশ্র বলেছেন, কোশি নদীতে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। মিশ্র বলেছেন, কোশি ব্যারেজের ৫৬টি স্লুইস গেটই খুলে দেয়া হয়েছে।
পাহাড়ঘেরা কাঠমান্ডুতে, বেশ কয়েকটি নদীর পানি উপচে রাস্তাঘাট, ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে রাজধানী দেশের অন্যান্য অংশ থেকে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রায় প্রতি বছর জুনের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে বেশিরভাগ পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায দেখা দেয়।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা বলছেন যে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরএ


প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত দার্জিলিং, ভূমিধস ও সেতু ভেঙে নিহত ১৪
গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ, লন্ডনে গ্রেপ্তার ৫০০