‘জিও ব্যাগ ফেলার কাজগুলো যদি উজান থেকে করত, তাহলে আজ এভাবে ভাঙত না। তারা ভাটি থেকে কাজ শুরু করেছিল। যে জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলার কথা, সে জায়গায় না ফেলার দরুন এই ভাঙন।’ হঠাৎ দুধকুমারের এমন আগ্রাসী রূপ দেখে হতবাক স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আউয়াল।
চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো থেকে মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে গবাদিপশুসহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিল। পানিবন্দি পরিবারগুলো ছোট শিশু, বৃদ্ধ ও গরু, ছাগল, হাস-মুরগি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছিলেন।
ভারতের একতরফা বাঁধ
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গজলডোবা বাঁধের গেটগুলো খুলে দেওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল গত রোববার রাতেই প্লাবিত হয়। স্থানীয় মানুষজন গরু-ছাগল নিয়ে স্পার বাঁধসহ উঁচু এলাকায় রাত কাটায়। পানি বাড়তে থাকায় নতুন নতুন লোকালয়ও প্লাবিত হচ্ছে।
ভারী বর্ষণের ফলে নেপালে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তাঘাট। ভেঙে পড়েছে সেতু। গত ৩৬ ঘন্টায় কমপক্ষে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।