নুসানতারা, ইন্দোনেশিয়ার নির্মাণাধীন একটি শহর। বোর্নিও দ্বীপের নুসানতারায় ৩ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে স্বপ্নের সবুজ রাজধানী। ২০২৮ সালের মধ্যে এটি দেশটির নতুন রাজনৈতিক রাজধানী হিসেবে তৈরির কাজ চলছে। সবুজ এবং টেকসই ‘বন নগরী’ মডেলে গড়ে তোলা হচ্ছে এই নগরী। যেখানে থাকবে অত্যাধুনিক অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সুবিধা।
ইন্দোনেশিয়া সরকার নুসানতারাকে একটি উচ্চপ্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব মহানগর হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। নুসানতারা হবে একটি ‘১০ মিনিটের শহর’। যার অর্থ হল, কেউ ১০ মিনিটের মধ্যে হাঁটা, সাইকেল চালানো বা পাবলিক পরিবহন ব্যবহার করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

বাসিন্দারা বৈদ্যুতিক শাটল বাস ব্যবহার করবেন এবং কেবলমাত্র এমন গাড়ি চালানোর অনুমতি পাবেন যা হবে পরিবেশবান্ধব। বর্তমান রাজধানী জাকার্তার মতো শহরে যারা বেড়ে উঠেছেন, নুসানতারা তাদের জন্য এক বিস্ময়।

প্রাচীন জাভানি ভাষায় নুসানতারার অর্থ ‘দ্বীপপুঞ্জ’, এটি ইন্দোনেশিয়ার বৈচিত্র্যময় দ্বীপপুঞ্জ। বিপুলসংখ্যক পর্যটক নতুন রাজধানীর নির্মাণকাজ দেখতে সেখানে বেড়াতে যাচ্ছেন। অনেকেই নগরীর মসৃণ সড়ক এবং আধুনিক স্থাপত্যশৈলি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।
নুসানতারার সুইসোটেল হোটেলের খাদ্য ও পানীয় বিষয়ক সহকারী পরিচালক আদজি প্রামোনো বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার কোনো অংশে আমি এর আগে কখনো এমনটি দেখিনি।’
জাকার্তায় জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা আদজি বলেন, তিনি আর কখনো সেই শহরে কাজে ফিরবেন না, যেখানে সকাল ৪টায় ঘুম থেকে উঠে ৮টায় কাজে পৌঁছাতে হত।

ইন্দোনেয়াশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সময় ২০২২ সালে এই শহরের উদ্যোগ নেয়া হয়। নতুন রাজধানী ১৯ লাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।
তবে তার উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পর এখনো নুসানতারা সফর করেননি এবং এর উন্নয়ন বাজেট কমিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, এটি রাজনৈতিক রাজধানী হিসেবেই থাকবে।
আরএ
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


দুই বছরে আসামে মুসলিম জনসংখ্যা হবে ৪০ শতাংশ
কঙ্গোর ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ যুক্তরাজ্যের