ডেইল সাবাহের বিশ্লেষণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সম্প্রতি বৈশ্বিক প্রবণতাগুলোর পরিবর্তনের কথা যদি বলা হয়, তাহলে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি হলো—আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরাইলের ভাবমূর্তির মারাত্মক অবনতি। ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে, কংগ্রেসের মাধ্যমে বা প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে যেভাবেই হোক না কেন, আমেরিকা ও অন্য পশ্চিমা শাসকরা ইসরাইলকে সমর্থন করে যাচ্ছেন মূলত তাদের প্রকৃত বিশ্বাস থেকে নয়, বরং কৌশলগত বা রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে। তবে ধীরে ধীরে ওয়াশিংটনের ওপর একটি অসহ্য বোঝা হয়ে উঠছে ইসরাইল।
ইসরাইল পশ্চিমা শক্তিগুলোর মধ্যে কেবল আমেরিকাকেই তার কথাবার্তা বলার পক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ব্রিটেন, ফ্রান্স বা জার্মানির মতো অন্যান্য পশ্চিমা দেশের প্রতি ইসরাইল কোনো সম্মান দেখায় না।
দীর্ঘদিনের আর্থিক প্রভাব, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে ইসরাইল শুধু পশ্চিমা দেশগুলোর সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করতেই সক্ষম হয়নি, বরং যাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি, তাদের আড়াল থেকে প্রভাবিত করা এবং চাপ প্রয়োগের কৌশলের মাধ্যমে দমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমানে এ ইহুদি আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমেরিকার রাস্তাঘাট এবং সমগ্র ইউরোপ জুড়ে এক ধরনের বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। ইসরাইলের কর্মকাণ্ড এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যা গণহত্যার শামিল। এটি শুধু পশ্চিমা মূল্যবোধ নয়, বরং সর্বজনীন নীতি, মানবাধিকার এবং বেঁচে থাকার অধিকার পর্যন্ত লঙ্ঘন করছে। এমনকি সবচেয়ে অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাগুলোকেও ঘৃণায় বিমুখ করে তুলছে।
বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ এখন ইসরাইল ও তার জায়নবাদী এজেন্ডার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের সাক্ষী। ইউরোপজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও নগর চত্বরগুলোতে প্রকাশ্য বিদ্রোহ চলছে। তবুও বৈশ্বিক প্রতিবাদের প্রতি ইসরাইল সম্পূর্ণ উদাসীন রয়ে গেছে।
সম্প্রতি আমেরিকার কংগ্রেসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন দেখা গেছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরে যেই প্রতিনিধিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন- তাদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
আমেরিকার জনবহুল নিউইয়র্কের মেয়র পদে সাতজন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। কিন্তু প্রার্থীরা যেন তেল আবিবে কোনো পদে লড়ছেন— এমনভাবে নিজেদের প্রচারণা করছেন। তবে এই ধারার বাইরে গিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত (উগান্ডায় জন্ম নেওয়া) আমেরিকান মুসলিম জোহরান মামদানি এক সাহসী ঘোষণা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তোলেন এবং অঙ্গীকার করেন- তার মেয়াদকালে নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে পা রাখলে তাকে গ্রেপ্তার করবেন।
মামদানি পরবর্তী সময়ে ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র এবং নেতানিয়াহুর সাবেক আইনি প্রতিনিধি ও সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে পরাজিত করে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হন।
মূলত ৭০ বছর ধরে ইহুদি ও খ্রিষ্টান জায়নবাদীরা বৈশ্বিক রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে, যখন কোনো শক্তি নিজেকে অজেয় ভাবতে শুরু করে, তখনই সাধারণত তার পতনের সূচনা হয়। এখন থেকে বিশ্ব দেখবে এক উল্টো ধারা, যেখানে প্রথমে জায়নবাদ এবং পরে ইহুদিদের জন্য পতন নিশ্চিত।

সম্প্রতি বৈশ্বিক প্রবণতাগুলোর পরিবর্তনের কথা যদি বলা হয়, তাহলে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর মধ্যে একটি হলো—আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরাইলের ভাবমূর্তির মারাত্মক অবনতি। ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে, কংগ্রেসের মাধ্যমে বা প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে যেভাবেই হোক না কেন, আমেরিকা ও অন্য পশ্চিমা শাসকরা ইসরাইলকে সমর্থন করে যাচ্ছেন মূলত তাদের প্রকৃত বিশ্বাস থেকে নয়, বরং কৌশলগত বা রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে। তবে ধীরে ধীরে ওয়াশিংটনের ওপর একটি অসহ্য বোঝা হয়ে উঠছে ইসরাইল।
ইসরাইল পশ্চিমা শক্তিগুলোর মধ্যে কেবল আমেরিকাকেই তার কথাবার্তা বলার পক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ব্রিটেন, ফ্রান্স বা জার্মানির মতো অন্যান্য পশ্চিমা দেশের প্রতি ইসরাইল কোনো সম্মান দেখায় না।
দীর্ঘদিনের আর্থিক প্রভাব, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে ইসরাইল শুধু পশ্চিমা দেশগুলোর সর্বোচ্চ স্তরে প্রবেশ করতেই সক্ষম হয়নি, বরং যাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি, তাদের আড়াল থেকে প্রভাবিত করা এবং চাপ প্রয়োগের কৌশলের মাধ্যমে দমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমানে এ ইহুদি আধিপত্যের বিরুদ্ধে আমেরিকার রাস্তাঘাট এবং সমগ্র ইউরোপ জুড়ে এক ধরনের বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। ইসরাইলের কর্মকাণ্ড এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যা গণহত্যার শামিল। এটি শুধু পশ্চিমা মূল্যবোধ নয়, বরং সর্বজনীন নীতি, মানবাধিকার এবং বেঁচে থাকার অধিকার পর্যন্ত লঙ্ঘন করছে। এমনকি সবচেয়ে অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাগুলোকেও ঘৃণায় বিমুখ করে তুলছে।
বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ এখন ইসরাইল ও তার জায়নবাদী এজেন্ডার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের সাক্ষী। ইউরোপজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও নগর চত্বরগুলোতে প্রকাশ্য বিদ্রোহ চলছে। তবুও বৈশ্বিক প্রতিবাদের প্রতি ইসরাইল সম্পূর্ণ উদাসীন রয়ে গেছে।
সম্প্রতি আমেরিকার কংগ্রেসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন দেখা গেছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতরে যেই প্রতিনিধিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন- তাদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
আমেরিকার জনবহুল নিউইয়র্কের মেয়র পদে সাতজন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। কিন্তু প্রার্থীরা যেন তেল আবিবে কোনো পদে লড়ছেন— এমনভাবে নিজেদের প্রচারণা করছেন। তবে এই ধারার বাইরে গিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত (উগান্ডায় জন্ম নেওয়া) আমেরিকান মুসলিম জোহরান মামদানি এক সাহসী ঘোষণা দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তোলেন এবং অঙ্গীকার করেন- তার মেয়াদকালে নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে পা রাখলে তাকে গ্রেপ্তার করবেন।
মামদানি পরবর্তী সময়ে ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের মিত্র এবং নেতানিয়াহুর সাবেক আইনি প্রতিনিধি ও সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে পরাজিত করে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হন।
মূলত ৭০ বছর ধরে ইহুদি ও খ্রিষ্টান জায়নবাদীরা বৈশ্বিক রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। কিন্তু ইতিহাস প্রমাণ করে, যখন কোনো শক্তি নিজেকে অজেয় ভাবতে শুরু করে, তখনই সাধারণত তার পতনের সূচনা হয়। এখন থেকে বিশ্ব দেখবে এক উল্টো ধারা, যেখানে প্রথমে জায়নবাদ এবং পরে ইহুদিদের জন্য পতন নিশ্চিত।

আরব সাগরে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ করেছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী। বুধবার (২২ অক্টোবর) সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ সামুদ্রিক জোট কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্সেস (সিএমএফ)-এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানি নৌবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
খামেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্টে জানান, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে আমেরিকার নানা প্রান্তে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। যদি আপনি (ট্রাম্প) এতটাই সক্ষম হন, তবে বিক্ষোভকে দমন করুন।
২ ঘণ্টা আগে
হোয়াইট হাউস দাবি করছে, এই প্রকল্পে সরকারি অর্থ ব্যবহার হবে না, বরং ভবিষ্যতের প্রশাসনগুলিও সুবিধা পাবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বলরুমটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ফান্ডরেইজিংয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে—যা সরকারি প্রভাবের বিনিময়ে অর্থ আদায়ের নতুন রূপ।
২ ঘণ্টা আগে
গুগলের ক্রোমকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার উন্মোচন করেছে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই। ওপেনএআই তাদের নতুন এই ব্রাউজারের নাম দিয়েছে ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’।
২ ঘণ্টা আগে