সব বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে নিয়ে সেনাবাহিনী গঠন করবে সিরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ৫৩

আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া সব বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে নিয়ে এবার সেনাবাহিনী গঠন করতে যাচ্ছে সিরিয়া। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এ বিষয়ে সবাই সম্মত হয়েছে বলে জানায় সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এ বাহিনীতে থাকছে না উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় কুর্দি-নেতৃত্বাধীন এবং আমেরিকা-সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এসডিএফ।

সিরিয়ায় দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধের পর গত ৮ ডিসেম্বর আসাদ সরকারের পতন ঘটে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরিহ আল-শাম-এইচটিএস। দায়িত্ব নেওয়ার পর সিরিয়া পুনর্গঠনে সব বিদ্রোহী পক্ষকে নিয়ে একটি একক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করেন এইচটিএস প্রধান আহমেদ আল-শারা। বিষয়টি জটিল হলেও সব সশস্ত্র গোষ্ঠীকে নিয়ে আলোচনায় বসেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে আল-শারা এ নিয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। নতুন প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আল-শারা ও গোষ্ঠীগুলোর প্রধানদের মধ্যে চুক্তি হয়েছে, যেখানে সব গোষ্ঠী ভেঙে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে একীভূত হবে তারা।’

একক বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্তকে আহমেদ আল-শারার সফল নেতৃত্ব হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। এখন থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ এড়ানোর দায়িত্ব বর্তাবে আর-শারার ওপর।

স্বাভাবিকভাবেই এ বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবে এইচটিএস। এছাড়া থাকছে তুরস্ক-সমর্থিত এইটথ ব্রিগেড অব ফিফথ কর্পস, দ্য সিরিয়াস ফ্রন্ট, জাইশ আল-ইসলাম নামের বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বশির গত সপ্তাহে বলেছিলেন, বাশার আল-আসাদের সেনাবাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও অফিসারদের ব্যবহার করে মন্ত্রণালয় পুনর্গঠন করা হবে।

দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে মুরহাফ আবু কাসরাকে নিয়োগ দিয়েছেন সিরিয়ার নতুন শাসকরা। বাশারের পতনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন ছিলেন তিনি।

আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে এটি সম্ভবত সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন। আল-আসাদের শাসনের পতনের পরপরই দেশজুড়ে বিরোধী যোদ্ধারা দামেস্কে প্রবেশ করে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল দাবি করে।

সিরিয়ার জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে মুসলিম কুর্দি ও শিয়া, সিরিয়াক, গ্রিক ও আর্মেনীয় অর্থডক্স খ্রিস্টান ও দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্য রয়েছেন। গৃহযুদ্ধের সময়ে ভবিষ্যৎ সুন্নি ইসলামি শাসন নিয়ে সবসময় শঙ্কায় ছিলেন তারা।

তবে বিভিন্ন অঞ্চলের আলাদা এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী একটি একক বাহিনীর নেতৃত্ব কতটুকু সংঘবদ্ধ থাকবে, তা নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

বিষয়:

আসাদ
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত