তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) আমার ভাষণে প্রধান এজেন্ডা হলো গাজায় ইসরাইলের 'গণহত্যা'র উপর আলোকপাত করা, ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।
রোববার নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। তুরস্কভিত্তিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এরদোয়ান জানান, ‘জাতিসংঘে আমার ভাষণে, আমি গাজার বিচার এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য তুর্কিয়ের প্রচেষ্টার কথা বলব।’
তিনি বলেন, এই বছরের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ পূর্ববর্তীগুলির থেকে আলাদা হবে, কারণ ‘অনেক দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে"। এরদোগান আশা প্রকাশ করেন যে ফিলিস্তিনের ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতি ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করবে’ এবং একই সঙ্গে তুর্কি সাইপ্রিয়টদের অধিকার ও নিরাপত্তাও তার এজেন্ডার অংশ হবে।
এছাড়াও এরদোয়ান জানান, তিনি সম্মেলনের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘জাতিসংঘের বর্তমান কাঠামো তার দায়িত্ব পালনের জন্য যথেষ্ট নয়’।
এ বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় তিনি আরো উল্লেখ করেন, তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল শাইবানীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন, যা কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো সিরিয়ার নেতৃত্ব জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করবে। এরদোয়ান বলেন, ‘সিরিয়ার ভাইবোনেরা তাদের স্বাধীনতার জন্য প্রচুর মূল্য দিয়েছেন। আমরা আশা করি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সিরিয়ার স্বাধীনতায় অবদান রাখবে,’ এবং তুর্কি ‘আমাদের অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চিতে শান্তি’ চাই।

