জার্মান পার্লামেন্টে বুধবার বিদেশী নীতির ওপর বিতর্ক চলাকালীন সময় এক ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনকারী ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করেন। দর্শক সারিতে থাকা ওই ব্যক্তি পতাকা উঁচিয়ে ধরাকে গাজা নিয়ে জার্মান সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে বর্ণনা করেন।
এ সময় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াডেফুল গাজা পরিস্থিতি সম্পর্কে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি যে গাজা উপত্যকায় একটি দুর্বল যুদ্ধবিরতি চলছে।” ঠিক এ সময় প্রতিবাদকারী জোহানের বক্তব্য থামিয়ে ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, "যুদ্ধবিরতি নেই।"
প্রতিবাদকারী আরও অভিযোগ করেন যে, জার্মান সরকার ইসরাইলের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করছে না। ফলে গাজায় শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হচ্ছে।
পার্লামেন্টের অধিবেশনে উপস্থিত ডেপুটি পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্ট ওমিদ নুরিপুর দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন এবং প্রতিবাদকারীকে দর্শক সিট থেকে বের করে দেন। এরপর নিরাপত্তা কর্মীরা ওই যুবককে পার্লামেন্ট ভবন থেকে বের করে নিয়ে যায়।
জার্মানি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহকারী একটি প্রধান দেশ হিসেবে পরিচিত। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ৫ জুন পর্যন্ত, জার্মানি ইসরাইলকে মোট €৪৯২ মিলিয়ন (প্রায় ৫৬৭ মিলিয়ন ডলার) মূল্যের অস্ত্র সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে।
ইসরাইলের কঠোর সমর্থক হিসেবে পরিচিত জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ আগস্টে গাজা যুদ্ধের প্রসঙ্গে অস্ত্র রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তবে, এ সপ্তাহে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
জার্মান সরকার দাবি করছে যে, ১০ অক্টোবর থেকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। সরকার আরও বলেছে যে, গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং টেকসই শান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এসআর
