শীর্ষ দুই তালেবান নেতার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০: ০৩
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৪: ০৭
ছবি সংগৃহীত

আফগানিস্তানে নারীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে তালেবানের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, আফগান নারীদের নির্যাতনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

হেগ-ভিত্তিক আদালত বলছে, ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালেবানের শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং প্রধান বিচারপতি আব্দুল হাকিম হাক্কানি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০২১ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর নারীদের ওপর একাধিক বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে তালেবান সরকার। যার মধ্যে রয়েছে ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণে বাধা দেওয়া এবং বেশিরভাগ পেশায় মেয়েদের চাকরি করা নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীর দূরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে তালেবান।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিক্রিয়ায় তালেবান বলেছে যে তারা আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয় না। এই পরোয়ানাকে ‘স্পষ্ট বৈরিতা এবং বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তারা।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণের ওপর তালেবান কিছু নিয়মনীতি চাপিয়ে দিলেও তারা বিশেষভাবে নারী ও কন্যাশিশুদের লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে টার্গেট করেছে এবং মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে। জাতিসংঘ এই বিধিনিষেধকে লিঙ্গভিত্তিক বর্ণবাদের শামিল বলে আখ্যা দিয়েছে।

জাতিসংঘ এরআগে এই নিষেধাজ্ঞাগুলোকে ‘লিঙ্গ বর্ণবাদ’ হিসেবে বর্ণনা করে।

তবে তালেবান সরকার বলছে, তারা আফগান সংস্কৃতি এবং ইসলামি আইন অনুসারে নারীর অধিকারকে সম্মান করে।

অভিযুক্ত আখুন্দজাদা ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর তিনি ইসলামিক আমিরাতের নেতৃত্বে আসেন।

অপর অভিযুক্ত হাকিম হাক্কানি তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় তালেবানের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন।

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত