রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার নির্ধারিত লক্ষ্য কূটনৈতিক বা সামরিক—যে কোনো উপায়েই অর্জন করা হবে। একই সঙ্গে তিনি সেখানে একটি “নিরাপত্তা বাফার জোন” গঠন ও সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছেন। খবর আল-আরাবিয়ার।
বুধবার দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, “বিশেষ সামরিক অভিযানের লক্ষ্য নিঃসন্দেহে পূরণ করা হবে। আমরা কূটনীতির মাধ্যমে সংঘাতের মূল কারণগুলোর সমাধান করতে চাই।” তবে তিনি সতর্ক করে জানান, বিরোধী পক্ষ এবং তাদের বিদেশি পৃষ্ঠপোষকরা যদি বাস্তব আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে রাশিয়া সামরিক উপায়েই তার লক্ষ্য অর্জনে এগোবে।
পুতিনের ভাষ্য অনুযায়ী, সে ক্ষেত্রে রাশিয়া তার দাবি করা “ঐতিহাসিক ভূমি মুক্ত” করবে এবং একই সঙ্গে ইউক্রেনে একটি নিরাপত্তা বাফার জোন তৈরি ও সম্প্রসারণের কাজ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাবে।
বর্তমানে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চলকে রাশিয়া নিজের অংশ বলে দাবি করে, তার মধ্যে ক্রিমিয়া সম্পূর্ণভাবে মস্কোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাশাপাশি ডনবাস অঞ্চলের প্রায় ৯০ শতাংশ এবং খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের প্রায় ৭৫ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার দখলে আছে। এছাড়া খারকিভ, সুমি, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক ও মাইকোলাইভ সংলগ্ন কিছু এলাকাতেও রুশ বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে।
যুদ্ধ যখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুত শান্তি চুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন, সেই প্রেক্ষাপটে পুতিন দাবি করেন যে রাশিয়া সব ফ্রন্টেই অগ্রসর হচ্ছে।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ স্বীকার করেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুপিয়ানস্ক পুনর্দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও তার মতে, এই প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে না। অপরদিকে ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা শহরটির প্রায় ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
ইউরোপ প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় জনগণকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের ভয় দেখানো হচ্ছে এবং এ বিষয়ে ইউরোপের নেতাদের বিরুদ্ধে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ভীতি ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না, তবে যদি সেটি ইউরোপের পছন্দ হয়, তাহলে রাশিয়া তার জন্য প্রস্তুত থাকবে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

