কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন নেতানিয়াহু

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ০৮
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ০২

দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে রাজি হয়েছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এ তথ্য জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

ধারণা করা হচ্ছে— ট্রাম্পের ব্যাপক চাপের পরই নেতানিয়াহু অবশেষে রাজি হয়েছেন। সবাই জানত, ইসরাইল নিজে থেকে এই গণহত্যামূলক যুদ্ধ থামাবে না, এবং ট্রাম্পের পক্ষে ইসরাইলকে এই অবস্থানে আনতে সময় লেগেছে দুই বছর।

বিজ্ঞাপন

এখন নেতানিয়াহুকে রাজনৈতিক টিকে থাকা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। সব প্রশংসা, সব কৃতজ্ঞতা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দিকে— নেতানিয়াহুর দিকে নয়—যিনি চাইলে এক বছর আগেই, এমনকি তারও আগে এই চুক্তিতে পৌঁছাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন; অতীতে তিনি একাধিক চুক্তি ভন্ডুল ও ব্যাহত করেছেন এবং মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি ভেঙেছিলেন—যার ফলে সব ইসরাইলি বন্দি, মৃত ও জীবিত, মুক্তি পেতে পারতেন। খবর আল জাজিরার।

এখন নেতানিয়াহুর জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগের সময় এসেছে—যাতে তিনি নিশ্চিত করতে পারেন যে প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয় এবং ইসরাইলি বন্দিরা মুক্তি পায়। একবার তা ঘটলে— ইসরাইলি বিশ্লেষক, রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং রাজনীতিকদের ধারণা অনুযায়ী—তার জন্য পুনরায় যুদ্ধ শুরু করা খুবই কঠিন হবে।

তবে তিনি একটি উপযুক্ত মুহূর্ত বেছে নিয়ে ঘোষণা দেওয়ার চেষ্টা করবেন—তিনি এই সরকার নিয়েই এগিয়ে যাবেন, নাকি আগাম নির্বাচনের ডাক দেবেন, সে বিষয়ে।

এদিকে ২৬ সেপ্টেম্বর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঞ্চে উঠতেই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক প্রতিনিধিরা গণহারে ওয়াকআউট করেন। এতে প্রমাণিত হয় আন্তর্জাতিক রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা। এটি মূলত গাজা হামলা চলমান রাখায় এই প্রতিবাদ জানান বিশ্ব নেতারা। এখন ট্রাম্পের আহ্বানে নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিতে গেলেও আন্তর্জাতিক নেতারা তার প্রতি আস্থা রাখবেন কিনা এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

তাছাড়া গাজা উপত্যকায় হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইলের রাস্তায় নেমে হাজার হাজার ইসরাইলি নাগরিক বিক্ষোভ করে আসছিলেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থী সরকারের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা দাবি করে আসছিলেন—নেতানিয়াহু সরকার দেশের গণতন্ত্রকে আঘাত করেছে।

২০২৬ সালের ২৭ অক্টোবর ইসরাইলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হারাতে পারেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামি নেতানিয়াহু। বিভিন্ন জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত