দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘাত ১১ দিন পার করেছে বুধবার। ৭ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছে উভয় দেশের কমপক্ষে ৫২ জন। কম্বোডিয়ার স্থানীয় পত্রিকা খেমার টাইমস জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে থাই সেনাবাহিনী সীমান্ত অঞ্চলে কামান এবং ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় কম্বোডিয়াও থাইল্যান্ডের সীমান্ত অঞ্চলে রকেট হামলা চালায়।
এদিকে থাইল্যান্ড দাবি করেছে, মারাত্মক এই সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য কম্বোডিয়াকেই প্রথমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। মঙ্গলবার ব্যাংককে এক ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারাতি নালিতা আন্দামো বলেছেন, থাই ভূখণ্ডে আক্রমণকারী হিসেবে কম্বোডিয়াকে প্রথমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। তবে যেকোনো যুদ্ধবিরতি অবশ্যই নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে এবং বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। এছাড়া সংঘাতের অবসান ঘটাতে কম্বোডিয়াকে সীমান্তে ‘মাইন অপসারণ’ করতে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান তিনি।
তবে থাইল্যান্ডের দাবির প্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য করেনি কম্বোডিয়া। এই সংঘাতের শুরু থেকেই উভয় দেশ একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে। দেশ দুটি সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে, আত্মরক্ষার দাবি করেছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
থাই কর্তৃপক্ষের মতে, এখন পর্যন্ত ১৯ জন থাই সেনা এবং ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৭৭ জন আহত হয়েছে। এই সংঘাতে উভয় দেশের সীমান্ত থেকে ৮ লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার বলেছিলেন, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার নেতারা নতুন করে লড়াই বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন। কিন্তু তারপরও চলমান রয়েছে গোলাবর্ষণ।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির জন্য কোনো চাপ নেই উল্লেখ করে মঙ্গলবার রয়টার্স সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল। ট্রাম্প ব্যাংকককে যুদ্ধ বন্ধ করতে শুল্কের হুমকি ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে না। কে কার ওপর চাপ দিচ্ছে, আমি জানি না।’
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন


মালয়েশিয়ায় ৪৬ বাংলাদেশি আটক
জানুয়ারিতে পাকিস্তান আসছেন ইমরান খানের দুই ছেলে