ইউক্রেনে টমাহক সরবরাহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে পুতিনের হুঁশিয়ারি

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৪০

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে, তবে তা মস্কো-ওয়াশিংটনের সম্পর্কের ধ্বংস ডেকে আনবে।

রোববার ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, এই পদক্ষেপ আমাদের সম্পর্কের ধ্বংস ঘটাবে বা অন্তত সাম্প্রতিক ইতিবাচক অগ্রগতির ইতি টানবে।

দুই মাসেরও কম সময় আগে আলাস্কায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের পরও রুশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এদিকে ইউক্রেনে রুশ অগ্রযাত্রা, ন্যাটো আকাশসীমায় রুশ ড্রোন প্রবেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হামলার আলোচনাও পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে।

ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, পুতিন শান্তি স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছেন এবং রাশিয়াকে কাগুজে বাঘ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এর জবাবে পুতিন পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ন্যাটোই কি কাগুজে বাঘ নয়, যারা রুশ অগ্রযাত্রা ঠেকাতে ব্যর্থ?

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানান, ওয়াশিংটন ইউক্রেনের অনুরোধে দূরপাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার রাজধানী মস্কোসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার সক্ষমতা রাখে।

তবে পুতিন বলেন, টমাহক ব্যবহার সম্ভব নয় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক অংশগ্রহণ ছাড়া। তাই ইউক্রেনকে এ ধরনের অস্ত্র সরবরাহ গুণগতভাবে নতুন মাত্রার সংঘাত সৃষ্টি করবে।

তিনি বলেন, এটি কেবল রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কেই নয়, পুরো সংঘাতেই নতুন পর্যায়ের সূচনা করবে।

গত সপ্তাহে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনার ওপর আঘাতের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনা কম। কারণ বর্তমান মজুদ যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ও অন্যান্য ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ।

টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। ইউক্রেন এ অস্ত্র পেলে রাশিয়ার ইউরোপীয় অংশসহ ক্রেমলিনও এর আওতায় পড়বে। পুতিন বলেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, তবে রাশিয়া সেগুলো প্রতিহত করে নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর পশ্চিমারা ন্যাটো সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাশিয়াকে অবমূল্যায়ন ও অপমান করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত