নেপালের অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি স্পষ্ট করে বলেছেন, শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করা তার সরকারের ম্যান্ডেটের মধ্যে পড়ে না। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে তার প্রথম ভাষণে তিনি একথা বলেন। খবর দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের।
তিনি বলেন, নেপালের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমেই শাসনব্যবস্থা সংশোধন করা যেতে পারে। তাই একটি বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জেন-জিদের একটি অংশ আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচিত নির্বাহী প্রধানের দাবি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জেন-জি আন্দোলনের সময় উত্থাপিত বিষয়গুলো, যার মধ্যে সংবিধান সংশোধন এবং শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবি অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে তা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এখতিয়ারের বাইরে।’
তাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং সাংবিধানিক উপায়ে শাসনব্যস্থা পরিবর্তেনে তরুণ সমাজের প্রতি প্রতি আহ্বান জানান কার্কি।
ভাষণে কার্কি জোর দিয়ে বলেন, ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠান তার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
নেপালে সংসদীয় ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন। সরাসরি নির্বাচিত নির্বাহী প্রধানের জন্য নেপালের সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন।
ভাষণে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সুশাসনের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে কার্কি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই তার প্রশাসনের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার।


বিক্ষোভে উত্তাল মাদাগাস্কার, কারফিউ জারি
গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরাইল : জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট