গাজায় যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্র: এইচআরডব্লিউ

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১২: ৫২
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১২: ৫৩
ছবি: আল জাজিরা

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সতর্ক করে বলেছে, গাজায় যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার ঝুঁকিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীকে সহায়তাকারী মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মীরা যুদ্ধাপরাধের জন্য আইনি দায়বদ্ধতার মুখোমুখি হতে পারেন। খবর আল জাজিরার

সংগঠনটি বলছে, গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ইসরাইলকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ এবং পরিকল্পনা প্রণয়নসহ নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ওয়াশিংটন জড়িত। এ কারণে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের একটি পক্ষ হয়ে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

এইচআরডব্লিউয়ের ওয়াশিংটন পরিচালক সারাহ ইয়াগার বলেন, ‘ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে সামরিক অভিযানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের অর্থ হলো-আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় সশস্ত্র সংঘাতের একটি পক্ষ ছিল এবং বর্তমানেও রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মী এবং ঠিকাদাররা ইসরাইলি বাহিনীকে সহায়তা করছে। আর ইসরাইলি বাহিনী গাজায় যুদ্ধাপরাধে জড়িত। তাই গাজায় নৃশংসতার জন্য ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হতে পারেন মার্কিন সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মীরা্ও।’

মার্কিন কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর জন্য এবং সামরিক অভিযান সমন্বয়ের জন্য ইসরাইলকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা হয়। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইলের প্রতি সমর্থনও বাড়িয়েছে। ইসরাইলকে দুই হাজার পাউন্ড সরবরাহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থগিত রেখেছিলেন।

ইয়াগার আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোনো দেশ যখন জেনেশুনে অন্য কোনো দেশকে গুরুতর যুদ্ধ আইন লঙ্ঘন এবং অন্যান্য অপব্যবহার করতে সহায়তা করে, তখন তাকে আইনের মুখোমুখি করা যাবে।’

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত