সুদানে শরণার্থী শিবিরে ড্রোন হামলায় নিহত ৬০

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ২৬
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ২৭
ছবি: বিবিসি

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় এল-ফাশার শহরে বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৭ জন। স্থানীয় নাগরিক এবং কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত এল-ফাশেরের প্রতিরোধ কমিটি জানিয়েছে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এ হামলা চালায়। খবর বিবিসির।

আরএসএফ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত দার আল-আরকাম ক্যাম্পে দুটি ড্রোন হামলা এবং আটটি কামানের গোলা নিক্ষেপ করে। তবে আরএসএফ এই হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিরোধ কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে. ‘শিশু, নারী ও বয়স্কদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে এবং অনেকে পুড়ে মারা গেছে।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেকের মরদেহ আগুনে পুড়ে শনাক্ত করার অযোগ্য হয়ে গেছে। হামলার পর ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার বাড়ছে বলে জানায় প্রতিরোধ কমিটি।

স্থানীয় সময় শনিবার (১১ অক্টোবর) সংঘটিত এ হামলায় আরো বহু মানুষ আহত হয়।

এল-ফাশার উত্তর দারফুর প্রদেশের রাজধানী এবং দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন সবশেষ প্রধান শহর। গত ১৮ মাস ধরে আরএসএফ শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। শহরটি দখলে আনতে আরএসএফের হামলা দিন দিন আরো তীব্র হচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, সুদানে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বর্তমানে দেশটির প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এল-ফাশার এখন ‘খোলা আকাশের নিচে কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। শহরটিতে আটকা পড়ে থাকা প্রায় চার লাখ মানুষের খাবার ও ওষুধ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কেউ কেউ পশুর খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। তবে পশুখাদ্যের মূল্যও এখন অত্যধিক। বন্ধ হয়ে গেছে, অধিকাংশ ত্রাণকেন্দ্র।

আরএ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত