ভুলতথ্য মোকাবিলায় কাজ করা একটি প্রভাবশালী সংস্থার প্রধান ইমরান আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে তিনি “অসাংবিধানিক” আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এটি তাকে দেশছাড়া করার চেষ্টা।
ব্রিটিশ নাগরিক ইমরান আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট (সিসিডিএইচ)-এর প্রধান। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে যুক্ত পাঁচজন ইউরোপীয় ব্যক্তিত্বকে ভিসা দেওয়া হবে না—যাদের মধ্যে আহমেদও রয়েছেন। দপ্তরের অভিযোগ, তারা মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে তাদের অপছন্দের মতামত সেন্সর করতে “চাপ প্রয়োগের” চেষ্টা করেছেন।
এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও একাধিক সদস্য রাষ্ট্র। তারা ইউরোপের নিয়ন্ত্রক স্বায়ত্তশাসন রক্ষার অঙ্গীকার করেছে।
বুধবার নিউইয়র্কের একটি জেলা আদালতে করা মামলায় আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, পাবলিক ডিপ্লোমেসির আন্ডার সেক্রেটারি সারা রজার্স, অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।
ইমরান আহমেদ একজন গ্রিন কার্ডধারী, অর্থাৎ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের কট্টর সমালোচক হিসেবেও পরিচিত।
এক বিবৃতিতে আহমেদ বলেন, “আমি গর্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রকে আমার বাড়ি বলি। আমার স্ত্রী ও কন্যা আমেরিকান। তাদের সঙ্গে ক্রিসমাস কাটানোর বদলে আমাকে এখন আমার নিজ দেশ থেকে অবৈধভাবে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে।”
মামলার নথিতে বলা হয়, আহমেদের সামনে “অসাংবিধানিক গ্রেপ্তার, শাস্তিমূলক আটক এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের আশু আশঙ্কা” রয়েছে। তবে একজন জেলা বিচারক সাময়িকভাবে তার গ্রেপ্তার বা আটক নিষিদ্ধ করে আদেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে। বৃহস্পতিবার এক মুখপাত্র বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট ও কংগ্রেস বারবার স্পষ্ট করেছে—যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বিদেশি নাগরিকদের দেশে প্রবেশ বা বসবাসের অনুমতি দেওয়ার।”
সূত্র: এএফপি
এসআর
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

