অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণা

আমার দেশ অনলাইন

বিশ্ব জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মানুষ জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পগুলোর তিন মাইল (৫ কিলোমিটার) এর মধ্যে বসবাস করেন। যার ফলে প্রায় ২ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণায় প্রথমবারের মতো বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পগুলোর ভৌগোলিক বিস্তার ও জনস্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গার্ডিয়ানের সঙ্গে ভাগ করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর একটি বিশাল এলাকা জুড়ে বর্তমানে ১৭০টি দেশে ১৮,৩০০টিরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্প সক্রিয় রয়েছে। এসব প্রকল্পের কারণে কূপ খনন, প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, পাইপলাইনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় প্রতিনিয়ত বায়ু ও পানি দূষণ ঘটছে, ধ্বংস হচ্ছে জমি ও জীববৈচিত্র্য, ভেঙে পড়ছে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য।
প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রায় ৪৬৩ মিলিয়ন মানুষ, যার মধ্যে ১২৪ মিলিয়ন শিশু, এখন জীবাশ্ম জ্বালানি সাইটের এক কিলোমিটার (০.৬ মাইল) এর মধ্যে বাস করে। এছাড়া আরও ৩,৫০০টিরও বেশি নতুন প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এগুলো চালু হলে ১৩৫ মিলিয়ন মানুষ সরাসরি ধোঁয়া, গ্যাস নিঃসরণ ও ছড়িয়ে পড়া দূষণের শিকার হতে পারে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বেশিরভাগ চলমান প্রকল্প এলাকাগুলো দূষণের হটস্পট- এ পরিণত হয়েছে। নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এসব অঞ্চলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এইসব এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে ক্যান্সার, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, অকালপ্রসব ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
এই প্রতিবেদন এমন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে, যখন বিশ্বনেতারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত) ব্রাজিলের বেলেমে কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে একত্রিত হয়েছেন। সেখানে জীবাশ্ম জ্বালানি ধাপে ধাপে বন্ধ করার অগ্রগতি না হওয়ায় বৈশ্বিক হতাশা ক্রমশ বাড়ছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি ও তাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকরা ‘মানব উন্নয়ন’-এর নামে কেবল লোভ ও মুনাফা বৃদ্ধি করেছে। তারা প্রায় সম্পূর্ণ দায়মুক্তির সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং ধ্বংস করেছে বায়ুমণ্ডল, জীবমণ্ডল ও মহাসাগর।’ তিনি আরও বলেন, “কপ৩০ নেতাদের উচিত হবে লাভ ও ক্ষমতার বদলে সকলের কাছ থেকে সঠিক, ও দ্রুত জীবাশ্ম জ্বালানি পর্যায়ক্রমে বন্ধের প্রতিশ্রুতি নেওয়া।”
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক আদালতসহ বিভিন্ন সংস্থা জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পকে কঠোর নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছে। ফিলিপাইন, মেক্সিকো ও জ্যামাইকার মতো দেশগুলো বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সুপারস্টর্মে বিধ্বস্ত হচ্ছে।
এর মধ্যেই গার্ডিয়ান প্রকাশ করেছে, গত চার বছরে ৫,৩৫০ জনেরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের লবিস্ট জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় অংশ নিয়েছে, যা কার্যকর জলবায়ু পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত করছে— এমন সময়ে যখন তারা রেকর্ড পরিমাণ তেল ও গ্যাসের জন্য খনন অব্যাহত রেখেছে।

বিশ্ব জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মানুষ জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পগুলোর তিন মাইল (৫ কিলোমিটার) এর মধ্যে বসবাস করেন। যার ফলে প্রায় ২ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণায় প্রথমবারের মতো বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পগুলোর ভৌগোলিক বিস্তার ও জনস্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গার্ডিয়ানের সঙ্গে ভাগ করা এই গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর একটি বিশাল এলাকা জুড়ে বর্তমানে ১৭০টি দেশে ১৮,৩০০টিরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্প সক্রিয় রয়েছে। এসব প্রকল্পের কারণে কূপ খনন, প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, পাইপলাইনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় প্রতিনিয়ত বায়ু ও পানি দূষণ ঘটছে, ধ্বংস হচ্ছে জমি ও জীববৈচিত্র্য, ভেঙে পড়ছে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য।
প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রায় ৪৬৩ মিলিয়ন মানুষ, যার মধ্যে ১২৪ মিলিয়ন শিশু, এখন জীবাশ্ম জ্বালানি সাইটের এক কিলোমিটার (০.৬ মাইল) এর মধ্যে বাস করে। এছাড়া আরও ৩,৫০০টিরও বেশি নতুন প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এগুলো চালু হলে ১৩৫ মিলিয়ন মানুষ সরাসরি ধোঁয়া, গ্যাস নিঃসরণ ও ছড়িয়ে পড়া দূষণের শিকার হতে পারে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বেশিরভাগ চলমান প্রকল্প এলাকাগুলো দূষণের হটস্পট- এ পরিণত হয়েছে। নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এসব অঞ্চলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এইসব এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে ক্যান্সার, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, অকালপ্রসব ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি দ্রুত বাড়ছে।
এই প্রতিবেদন এমন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে, যখন বিশ্বনেতারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত) ব্রাজিলের বেলেমে কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে একত্রিত হয়েছেন। সেখানে জীবাশ্ম জ্বালানি ধাপে ধাপে বন্ধ করার অগ্রগতি না হওয়ায় বৈশ্বিক হতাশা ক্রমশ বাড়ছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানি ও তাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকরা ‘মানব উন্নয়ন’-এর নামে কেবল লোভ ও মুনাফা বৃদ্ধি করেছে। তারা প্রায় সম্পূর্ণ দায়মুক্তির সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং ধ্বংস করেছে বায়ুমণ্ডল, জীবমণ্ডল ও মহাসাগর।’ তিনি আরও বলেন, “কপ৩০ নেতাদের উচিত হবে লাভ ও ক্ষমতার বদলে সকলের কাছ থেকে সঠিক, ও দ্রুত জীবাশ্ম জ্বালানি পর্যায়ক্রমে বন্ধের প্রতিশ্রুতি নেওয়া।”
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক আদালতসহ বিভিন্ন সংস্থা জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পকে কঠোর নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছে। ফিলিপাইন, মেক্সিকো ও জ্যামাইকার মতো দেশগুলো বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সুপারস্টর্মে বিধ্বস্ত হচ্ছে।
এর মধ্যেই গার্ডিয়ান প্রকাশ করেছে, গত চার বছরে ৫,৩৫০ জনেরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের লবিস্ট জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় অংশ নিয়েছে, যা কার্যকর জলবায়ু পদক্ষেপ বাধাগ্রস্ত করছে— এমন সময়ে যখন তারা রেকর্ড পরিমাণ তেল ও গ্যাসের জন্য খনন অব্যাহত রেখেছে।

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন তার ব্যক্তিগত ইমেইলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম বহুবার উল্লেখ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যদের প্রকাশ করা নতুন ইমেইল নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
১২ মিনিট আগে
ঘানার রাজধানী আক্রায় সেনাবাহিনীর নিয়োগ কার্যক্রম চলাকালে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে। বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনায় নতুন অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাপানের ৩০ জন নাগরিকের রাশিয়াতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরাইলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার নেতা রন ডারমার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এ সিদ্ধান্তের মাত্র কিছু সময় পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আটক ইসরাইলি বন্দিদের একটি অংশ ফেরত দেওয়া হয়। জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে