আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

‘আমেরিকা ফার্স্ট নীতি’

বাইডেন আমলের ৩০ রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার ট্রাম্প প্রশাসনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বাইডেন আমলের ৩০ রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার ট্রাম্প প্রশাসনের
ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে দেশ পরিচালনা করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রায় ৩০ রাষ্ট্রদূত এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ বিদেশি কূটনীতিককে তাদের পদ থেকে প্রত্যাহার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেসব পদে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি অনুগতদের পদোন্নতি দিয়ে নিয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রত্যাহার করা কূটনীতিকদের তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। সোমবার সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, যেকোনো প্রশাসনে এ পদক্ষেপ একটি আদর্শ প্রক্রিয়া। তবে সমালোচকরা বলেছেন, ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপ বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতাকে দুর্বল করে তুলবে।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, একজন রাষ্ট্রদূত হলেন প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি এবং এটি নিশ্চিত করা প্রেসিডেন্টের অধিকার যে, এ দেশগুলোয় এমন ব্যক্তিরা নিযুক্ত আছেন যারা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরো জানান, প্রত্যাহার করা রাষ্ট্রদূতদের বরখাস্ত করা হবে না; বরং তাদের পুনর্নিয়োগ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের প্রত্যাহারের পরিকল্পনার খবরটি পলিটিকো প্রকাশ করেছিল।

পররাষ্ট্র দপ্তরের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে কমপক্ষে ২৯টি দেশের মিশনপ্রধানদের জানানো হয়েছে, তাদের মিশনে থাকার মেয়াদ আগামী বছরের জানুয়ারিতে শেষ হবে।

প্রত্যাহার করা রাষ্ট্রদূতদের সবাই সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিকের একটি প্রাথমিক শুদ্ধি অভিযানে বাদ পড়েন তারা, যা মূলত রাজনৈতিক নিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে করা হয়েছিল। বুধবার ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাদের প্রত্যাহারের নোটিস পাওয়া শুরু করলে পরিস্থিতি বদলে যায়।

রাষ্ট্রদূতদের পরিবর্তন পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আফ্রিকা মহাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশগুলো হলো, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, কেপ ভার্দে, গ্যাবন, আইভরি কোস্ট, মাদাগাস্কার, মরিশাস, নাইজার, নাইজেরিয়া, রুয়ান্ডা, সেনেগাল, সোমালিয়া এবং উগান্ডা। এরপর এশিয়া মহাদেশের ফিজি, লাওস, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম, এ ছয় দেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এছাড়া ইউরোপের চার দেশÑআর্মেনিয়া, ম্যাসেডোনিয়া, মন্টিনিগ্রো এবং স্লোভাকিয়ার রাষ্ট্রদূতরাও প্রত্যাহারের তালিকায় রয়েছেন।

তবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিছু আইনজীবী এবং মার্কিন কূটনীতিকদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন। আমেরিকান ফরেস সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র নিকি গেমার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সরকারের এ পদক্ষেপ ‘অত্যন্ত অনিয়মিত’। এটি আকস্মিক এবং ব্যাখ্যাহীন। এ প্রত্যাহার কার্যকম প্রাতিষ্ঠানিক নাশকতা এবং রাজনীতিকরণকে প্রতিফলিত করে, যা বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন