গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলায় আরো ৮৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদেরমধ্যে ৫৮ জন মারা যান ত্রাণ আনতে গিয়ে। এছাড়া আরো আটজন অনাহারে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।
আল-আওদা হাসপাতালের সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় নুসাইরাত শরণার্থী শিবির থেকে একজন নারী এবং দুই শিশুসহ পাঁচজন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় তারা নিহত হন।
মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে আল জাজিরার হিন্দ খোদারি জানান, মে মাসে জিএইচএফ বিতরণ কেন্দ্রগুলো কাজ শুরু করার পর থেকে গাজায় প্রতিদিন একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা খাবারের জন্য অপেক্ষা করে এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে আসেন এবং ইসরাইলি বাহিনী এদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।’
পর্যাপ্ত সাহায্য প্রদানে ব্যর্থতা এবং ত্রাণ নিতে এসে লোকেজন হামলার শিকার হওয়ায় জিএইচএফের তীব্র সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলো।
ইসরায়েলি-সৃষ্ট অনাহার সংকটের মধ্যে খাদ্য গ্রহণের চেষ্টা করার সময় এখন পর্যন্ত ১,৫৬০ জনেরও বেশি সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।
এরআগে সোমবার, ইসরাইল ৯৫টি ত্রাণ ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ন্যূনতম বেঁচে থাকার চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। দৈনিক গড়ে এখন ৮৫টি ট্রাকে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় মোকাবেলায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ভেস্তে গেছে।
যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে দখলের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
আরএ


গাজা দখলের বিষয়টি ইসরাইলের ওপর নির্ভরশীল: ট্রাম্প
হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলার ৮০ বছর পূর্তি