
আমার দেশ অনলাইন

গত বৃহস্পতিবার সকালে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে ১৫৩ জন ফিলিস্তিনিকে বহনকারী একটি চার্টার্ড বিমান জোহানেসবার্গের কাছে অবতরণ করার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তারা বিপাকে পড়েন। যাত্রীদের কাছে প্রয়োজনীয় এক্সিট স্ট্যাম্প বা ভ্রমণ নথি ছিল না, এবং তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় কোথায় বা কতদিন থাকবেন সে বিষয়ে উত্তর দিতে পারেননি। প্রায় ১২ ঘণ্টার অস্থিরতার পর দাতব্য সংস্থা গিফট অফ দ্য গিভার্স তাদের আশ্রয়ের প্রস্তাব দিলে যাত্রীদের নেমে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ঘটনাটিকে "রহস্যজনক" আখ্যা দিয়ে বলেন, মনে হচ্ছে "তাদের গাজা থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে"। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
বিতর্কিত এই স্থানান্তরের পেছনে রয়েছে আল-মাজদ ইউরোপ নামের একটি গোষ্ঠী, যাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। গাজা থেকে পালিয়ে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পারেন।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে কোনও স্পষ্ট ঠিকানা বা ফোন নম্বর নেই। শুধু অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহের একটি অবস্থান উল্লেখ থাকলেও সেখানে কোনো অফিস পাওয়া যায়নি।
ওয়েবসাইট ডোমেইনটি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিবন্ধিত হয়, এবং তালিকাভুক্ত ইমেল ঠিকানাটি কার্যকর নয়।
অনেককে ব্যাংকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল — যা সন্দেহ বাড়িয়েছে।
ওয়েবসাইটে থাকা “ইমপ্যাক্ট স্টোরিজ”–এর বেশ কিছু পোস্ট সন্দেহজনক বলে প্রমাণ মিলেছে। একটি পোস্টে “মোনা” নামে এক সিরীয় নারীর গল্প দেওয়া হলেও সেখানে ব্যবহৃত ছবি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তির, যিনি লেবাননের ত্রিপোলিতে ২০২৪ সালে একজন সাংবাদিকের তোলা ছবির মানুষ।
গাজা থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়ার জন্য সাইটে একটি ফর্ম রয়েছে, যেখানে লেখা:“আপনি কি নতুন জীবন শুরু করতে চান? আমরা সাহায্য করতে এখানে আছি!”
গাজা থেকে যাত্রীরা প্রত্যেকে ১,৪০০–২,০০০ ডলার পরিশোধ করেছেন — শিশুদের জন্যও প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই মূল্য। তাদের ছোট ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ অর্থ সাথে নিতে বলা হয়। পরে রাফাহ থেকে বাসে করে কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) সীমান্তে নেওয়া হয়, যেখানে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ তাদের পরীক্ষা করে কিন্তু ভ্রমণ নথিতে কোনো স্ট্যাম্প দেয়নি।
এরপর তাদের র্যামন বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রোমানিয়ার একটি বিমানে করে কেনিয়ার নাইরোবি হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
আল-মাজদ ওয়েবসাইট দাবি করেছে, ইন্দোনেশিয়ায় এর আগে আরেকটি দল পাঠানো হয়েছিল। তবে এর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
দাতব্য সংস্থা গিফট অফ দ্য গিভার্স জানিয়েছে, এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছানো দ্বিতীয় বিমান, যদিও প্রথমটির বিষয়ে সরকার কোনও ঘোষণা দেয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাস বলেছে, একটি অনিবন্ধিত ও বিভ্রান্তিকর সংস্থা গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের সুযোগ নিয়ে পরিবারগুলিকে প্রতারণা করেছে এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে তাদের ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, কিছু নেটওয়ার্ক ইসরাইলি স্বার্থে গাজার মানুষদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করার চেষ্টা করছে।
সূত্র: আল-জাজিরা

গত বৃহস্পতিবার সকালে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে ১৫৩ জন ফিলিস্তিনিকে বহনকারী একটি চার্টার্ড বিমান জোহানেসবার্গের কাছে অবতরণ করার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তারা বিপাকে পড়েন। যাত্রীদের কাছে প্রয়োজনীয় এক্সিট স্ট্যাম্প বা ভ্রমণ নথি ছিল না, এবং তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় কোথায় বা কতদিন থাকবেন সে বিষয়ে উত্তর দিতে পারেননি। প্রায় ১২ ঘণ্টার অস্থিরতার পর দাতব্য সংস্থা গিফট অফ দ্য গিভার্স তাদের আশ্রয়ের প্রস্তাব দিলে যাত্রীদের নেমে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ঘটনাটিকে "রহস্যজনক" আখ্যা দিয়ে বলেন, মনে হচ্ছে "তাদের গাজা থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে"। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
বিতর্কিত এই স্থানান্তরের পেছনে রয়েছে আল-মাজদ ইউরোপ নামের একটি গোষ্ঠী, যাদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। গাজা থেকে পালিয়ে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পারেন।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে কোনও স্পষ্ট ঠিকানা বা ফোন নম্বর নেই। শুধু অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহের একটি অবস্থান উল্লেখ থাকলেও সেখানে কোনো অফিস পাওয়া যায়নি।
ওয়েবসাইট ডোমেইনটি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিবন্ধিত হয়, এবং তালিকাভুক্ত ইমেল ঠিকানাটি কার্যকর নয়।
অনেককে ব্যাংকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল — যা সন্দেহ বাড়িয়েছে।
ওয়েবসাইটে থাকা “ইমপ্যাক্ট স্টোরিজ”–এর বেশ কিছু পোস্ট সন্দেহজনক বলে প্রমাণ মিলেছে। একটি পোস্টে “মোনা” নামে এক সিরীয় নারীর গল্প দেওয়া হলেও সেখানে ব্যবহৃত ছবি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তির, যিনি লেবাননের ত্রিপোলিতে ২০২৪ সালে একজন সাংবাদিকের তোলা ছবির মানুষ।
গাজা থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়ার জন্য সাইটে একটি ফর্ম রয়েছে, যেখানে লেখা:“আপনি কি নতুন জীবন শুরু করতে চান? আমরা সাহায্য করতে এখানে আছি!”
গাজা থেকে যাত্রীরা প্রত্যেকে ১,৪০০–২,০০০ ডলার পরিশোধ করেছেন — শিশুদের জন্যও প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই মূল্য। তাদের ছোট ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ অর্থ সাথে নিতে বলা হয়। পরে রাফাহ থেকে বাসে করে কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) সীমান্তে নেওয়া হয়, যেখানে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ তাদের পরীক্ষা করে কিন্তু ভ্রমণ নথিতে কোনো স্ট্যাম্প দেয়নি।
এরপর তাদের র্যামন বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রোমানিয়ার একটি বিমানে করে কেনিয়ার নাইরোবি হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে দেওয়া হয়।
আল-মাজদ ওয়েবসাইট দাবি করেছে, ইন্দোনেশিয়ায় এর আগে আরেকটি দল পাঠানো হয়েছিল। তবে এর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
দাতব্য সংস্থা গিফট অফ দ্য গিভার্স জানিয়েছে, এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছানো দ্বিতীয় বিমান, যদিও প্রথমটির বিষয়ে সরকার কোনও ঘোষণা দেয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাস বলেছে, একটি অনিবন্ধিত ও বিভ্রান্তিকর সংস্থা গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের সুযোগ নিয়ে পরিবারগুলিকে প্রতারণা করেছে এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে তাদের ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, কিছু নেটওয়ার্ক ইসরাইলি স্বার্থে গাজার মানুষদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করার চেষ্টা করছে।
সূত্র: আল-জাজিরা

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পলাতকদের মধ্যে ১১৫ জন বিদেশে অবস্থান করছে। এদের মধ্যে ২০ জন পোল্যান্ডে এবং ১৩ জন অস্ট্রিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে পলাতক থাকা এই ডানপন্থি চরমপন্থীদের মধ্যে প্রায় ৩৯ জনকে সহিংস অপরাধের জন্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
৩১ মিনিট আগে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরব প্রায় ১,০০০ জন প্রতিনিধি নিয়ে সফরে যাবে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট চূড়ান্তভাবে ৫০টি এফ-৩৫ বিমান বিক্রির চুক্তি আশা করছেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শর্তসাপেক্ষ কারণে সৌদি আরব হয়তো সরাসরি এ চুক্তি করবে না। মার্কিন শর্তগুলির মধ্যে রয়েছে “কিল সুইচ” এবং বিমান স্থানান্
১ ঘণ্টা আগে
রিয়াদে বসবাসরত মার্কিন প্রবাসী এবং ডিকিউ লিভিং ম্যাগাজিনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া কমেটি বলেন, ক্রাউন প্রিন্সের নেতৃত্বে ইতিবাচক মনোভাব ও অগ্রগতির প্রতি ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা তাকে অনুপ্রাণিত করে। একজন সৌদির স্ত্রী হিসেবে তিনি দেশের নিরাপত্তা ও পরিবারবান্ধব পরিবেশকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করেন।
২ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার ট্রাম্প দাবি করেন, অবৈধ অভিবাসন ও মাদক প্রবাহ রোধের পাশাপাশি ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্য পূরণের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তিনি। এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি কী করব। তবে এই মুহূর্তে তা প্রকাশ করতে পারছি না।
৩ ঘণ্টা আগে