পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস ৭০০ দিন পার হয়ে গেছে। তার এই কারাবন্দির সময়ে পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো মুখ খুলছেন ছেলে কাসিম খান।
তিনি এক এক্স পোস্টে ইমরান খানের চলমান কারাবাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, পাকিস্তানের জন্য দাঁড়ানো একজন মানুষকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এটি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে করছে।
কাসেম খান আরো অভিযোগ করেন, ইমরান খানকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সাথেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে তার স্বাস্থ্যের অবনতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কাসিম তার পোস্টে লেখেন, এটা ন্যায়বিচার নয়। এটা একটি সচেতন প্রচেষ্টা—একজন মানুষকে আলাদা করে এবং ভেঙে দেওয়ার, যিনি ন্যায়ের শাসন, গণতন্ত্র এবং পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।
এর আগে, ইমরান খানের ছেলেরা প্রথমবারের মতো এক সাক্ষাৎকারে অংশ নেন, যেখানে তিনি তার বাবার কারাবাস এবং তার অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। কাসিমকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তার বাবা যে কারাকক্ষে প্রায় দুই বছর ধরে বন্দি আছেন, সেই কক্ষের অবস্থা কেমন। তিনি জানান, ইমরান খানের বাইরের জগতে যোগাযোগের কোনো সুযোগ নেই, এমনকি চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেই, এবং তাকে দীর্ঘ সময় একাকিত্বে রাখা হচ্ছে।
কাসিম আরো জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তারা সপ্তাহে একবার বাবার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি পেলেও বাস্তবে তারা প্রতি দুই থেকে তিন মাসে মাত্র একবার কথা বলতে পারেন। মাঝে মাঝে ইমরান খানকে পুরোপুরি অন্ধকারে রাখা হয় দীর্ঘ সময়ের জন্য। তার বাবাকে টানা ১০ দিন সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছিল।

