গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে ‘গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগে’ ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিসহ তার দুই মন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অভিযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল জর্জি মেলোনি এ তথ্য জানান। তবে কাদের পক্ষ থেকে ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলেননি।
বুধবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম রাইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেলোনি বলেন, মামলায় আমার সহ নাম এসেছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রোসেত্তো, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানি, প্রতিরক্ষা শিল্প প্রতিষ্ঠান লিওনার্দোর প্রধান রবার্তো চিনগোলানিক।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মেলোনির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে আইনের অধ্যাপক, আইনজীবী ও বেশ কয়েকজন সুপরিচিত ব্যক্তিসহ যোট ৫০ জন সই করেছেন। তারা মেলোনি ও অন্যদের বিরুদ্ধে ইসরাইলে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন।
অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, 'ইসরাইলি সরকারকে সমর্থনের মাধ্যমে বিশেষ করে, প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ করে ইতালি সরকার চলমান গণহত্যায় সহায়তা করেছে। তারা ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে চরম যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন।'
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে ইতালির বিভিন্ন শহরে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে, যেখানে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নিচ্ছেন। অনেকে সরাসরি মেলোনির প্রতিও ক্ষোভ ঝাড়ছেন।
ইতালির ক্ষমতাসীন ডানপন্থি সরকার দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে তারা গাজায় ইসরাইলি হামলা ঘিরে ‘অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের’ সমালোচনা করেছে।
তবু ইতালি এখনো ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেনি, কিংবা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি।
উল্লেখ্য, গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘণ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে আইসিসি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের অভিযানে এ পর্যন্ত ৬৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরাইল অবশ্য গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


তবে কি ইতালির প্রধানমন্ত্রী বহির্বিশ্বের বিপক্ষে!
ইতালিতে ফিলিস্তিনপন্থি ব্যাপক বিক্ষোভ, সংঘর্ষে আহত ১০