জার্মানিতে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি সিরীয় অভিবাসীরা

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
ছবি: সিএনএন

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের জন্য জার্মানি যখন তার দরজা খুলে দেয়, তখন অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় সিরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ সেখানে আশ্রয় নেয়। জার্মানিতে তারা পায় ঘর, চাকরি, গড়ে তোলে পরিবার। তবে এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে এসব অভিবাসীর ভবিষ্যত। কারণ জার্মান সরকার তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে চাইছে। খবর সিএনএনের

জার্মান সরকার অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বলছে, স্বেচ্ছায় হোক বা না হোক, কারো কারো দেশে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে।

বিজ্ঞাপন

সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সময় ২০১৫-২০১৬ সালের দিকে প্রায় ১০ লাখ সিরীয় জার্মানিতে এসেছিলেন। বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় ১৩ লাখ সিরীয় বাস করেন, যার মধ্যে ২৫ হাজার এই দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন।

বর্তামান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্জ ও তার জোট সরকার অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে চাইছে।

মের্জ এই সপ্তাহে বলেছেন, বার্লিন এই বিষয়ে খুবই সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘জার্মানিতে আশ্রয়ের আর কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই।’

তিনি জানান, জার্মান সরকার প্রথমে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনকে উৎসাহিত করবে। যারা ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানাবে অদূর ভবিষ্যতে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। তার মতে, সিরীয়দের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন হবে তাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের মূল চাবিকাঠি।

জার্মান চ্যান্সেলর আরো জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে বার্লিন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

তবে প্রত্যাবাসন কতটা বিস্তৃত হবে, তা স্পষ্ট নয়। যাদের অপরাধের রেকর্ড আছে, আপাতত তাদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে জার্মান সরকার।

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, আসাদ সরকার পতনের পর প্রায় এক হাজার ৩০০ সিরীয় দেশে ফেরত গেছেন।

জার্মানিতে বসবাসকারী সিরীয়দের মধ্যে অনেকে নাগরিকত্ব পেয়েছেন, অনেকে আবার স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন। সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভ্যালের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদেএক লাখ ৬০ হাজারের বেশি সিরিয়ান জার্মান নাগরিকত্ব পেয়েছেন।

আরএ

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত