বিশেষ প্রতিনিধি, কলকাতা
হচ্ছে মুসলিমদের। পৌরাণিক কাহিনির ভিলেন চরিত্রগুলোতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের চিত্রিত করার এবার এক ‘নয়া ট্রেন্ড’ চালু করেছে গেরুয়া শিবির বা উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। প্রতিবেশী দেশের সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসুর’ হিসেবে দেখানো হয়েছিল পূজামণ্ডপে। তা নিয়ে বেশ বিতর্কও হয়েছিল।
এবার আর প্রতিবেশী দেশের কেউ নয়, নিজ দেশের কৃতী সন্তানদেরই দেখানো হলো রাবণ হিসেবে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) দুই প্রাক্তন কৃতী ছাত্র উমর খালিদ, শারজিল ইমামদের ‘রাবণ’ হিসেবে দেখানো হয়েছে ‘দশেরা’ উৎসবে। তাও আবার খোদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই। বলাবাহুল্য পৌরাণিক কাহিনির ‘ভিলেনদের’ চরিত্রে মুসলিমদের চিত্রিত করার গেরুয়া শিবিরের এই ‘নয়া ট্রেন্ড’-এর লক্ষ্য
একটাই- ইসলাম বিদ্বেষকে আরো তীব্র করে তোলা। প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণে বর্ণিত, লঙ্কারাজ রাবণকে বধ করেছিলেন রাম। তার সেই বিজয়কে উদযাপন করতে ‘দশেরা’ উৎসব করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে দশেরা উৎসবের আয়োজন করেছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের’ (আরএসএস) ছাত্র সংগঠন এবিভিপি।
জেএনইউর প্রাক্তন শিক্ষার্থী উমর খালিদ ও শারজিল ইমামকে রাবণ হিসেবে চিত্রিত করে দশেরার ‘রাবণ-দহন’ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল এবিভিপি। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে এই গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচি প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তীব্র প্রতিবাদ জানান ছাত্রছাত্রীরা। তাদের বক্তব্য, হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসবে যেভাবে শারজিল-খালিদদের রাবণ হিসেবে দেখানো হয়েছে তা মানা যায় না।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাছাড়া শারজিল-খালিদ আদালতেও দোষী প্রমাণিত হননি। এ অবস্থায় তাদের রাবণ হিসেবে দেখানো ব্যক্তি সম্মান ও মর্যাদায় আঘাত করার সমান। এ ধরনের কাজ সংবিধান বিরোধী। গেরুয়া শিবির যে সংবিধান মানে না এই ঘটনা থেকে তা আবার স্পষ্ট হয়েছে। সংবিধানকে অমান্য করে, মানুষের নিজ নিজ ধর্মপালন ও সংখ্যালঘুদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির অধিকারকে লঙ্ঘন করে এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে অমান্য করে মুসলিম প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বিচারে এখনো বুলডোজার চালাচ্ছে গেরুয়া-প্রশাসন।
সম্প্রতি ‘আই লাভ মুহাম্মদ (সা.)’ ব্যানার টাঙানোর ‘অপরাধে’ যোগী-রাজ্যে (উত্তরপ্রদেশে) যে অত্যাচার চলছে তার প্রতিবাদ করায় সেখানকার আলেম তথা মাওলানা তওকীর রাজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর তা নিয়ে যোগী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘মাওলানা ভুলে গিয়েছেন ক্ষমতায় কারা রয়েছে।’ আর কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা পদ্ম শিবিরের অন্যতম নেতা অনুরাগ ঠাকুর তো আগেই মুসলিমদের গুলি করে মারার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘গোলি মারো শালোকো...’।
জেএনইউ শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, হিন্দুত্ববাদী শাসকরা মনে করে সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদ করারও অধিকার নেই। তারা আরএসএসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা গোলওয়ালকরের মতো মুসলিমদের ‘দ্বিতীয় শ্রেণি’র নাগরিক হিসেবে দেখতে চায়। সেজন্য কখনো ‘লাভ জিহাদ’-এর নামে কখনো ‘ল্যান্ড জিহাদ’-এর নামে কখনো ‘গো-পাচার’-এর নামে নতুন নতুন ‘শব্দবন্ধ’ ব্যবহার করে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
এবিভিপির এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদে শামিল হয় আইসা, এসএফআই এবং ডিএসএফসহ বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাও। কেন শারজিল-খালিদদের রাবণ হিসেবে দেখানো হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবিভিপির বিরুদ্ধে পোস্টার প্রদর্শনের পাশাপাশি জুতা হাতে প্রতিবাদ জানান তারা। এক পর্যায়ে এবিভিপি ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষ বেধে যায়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় জেএনইউ ক্যাম্পাসে।
বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে এবিভিপি। তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে আইসা, ডিএসএফ, এসএফআই-এর মতো সংগঠন। আইসা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শারজিল-খালিদদের রাবণ হিসেবে দেখিয়ে ‘রাবণ-দহন’ করছিল এবিভিপি। এটা ইসলাম-বিদ্বেষের ঘৃণ্য নিদর্শন। রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য এভাবে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
অন্যদিকে এবিভিপি আবার অভিযোগ করেছে, তাদের দুর্গা বিসর্জন শোভাযাত্রায় হামলা চালিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। তাতে তাদের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহতও হয়েছে।
হচ্ছে মুসলিমদের। পৌরাণিক কাহিনির ভিলেন চরিত্রগুলোতে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের চিত্রিত করার এবার এক ‘নয়া ট্রেন্ড’ চালু করেছে গেরুয়া শিবির বা উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। প্রতিবেশী দেশের সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসুর’ হিসেবে দেখানো হয়েছিল পূজামণ্ডপে। তা নিয়ে বেশ বিতর্কও হয়েছিল।
এবার আর প্রতিবেশী দেশের কেউ নয়, নিজ দেশের কৃতী সন্তানদেরই দেখানো হলো রাবণ হিসেবে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) দুই প্রাক্তন কৃতী ছাত্র উমর খালিদ, শারজিল ইমামদের ‘রাবণ’ হিসেবে দেখানো হয়েছে ‘দশেরা’ উৎসবে। তাও আবার খোদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই। বলাবাহুল্য পৌরাণিক কাহিনির ‘ভিলেনদের’ চরিত্রে মুসলিমদের চিত্রিত করার গেরুয়া শিবিরের এই ‘নয়া ট্রেন্ড’-এর লক্ষ্য
একটাই- ইসলাম বিদ্বেষকে আরো তীব্র করে তোলা। প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণে বর্ণিত, লঙ্কারাজ রাবণকে বধ করেছিলেন রাম। তার সেই বিজয়কে উদযাপন করতে ‘দশেরা’ উৎসব করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে দশেরা উৎসবের আয়োজন করেছিল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের’ (আরএসএস) ছাত্র সংগঠন এবিভিপি।
জেএনইউর প্রাক্তন শিক্ষার্থী উমর খালিদ ও শারজিল ইমামকে রাবণ হিসেবে চিত্রিত করে দশেরার ‘রাবণ-দহন’ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল এবিভিপি। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে এই গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচি প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তীব্র প্রতিবাদ জানান ছাত্রছাত্রীরা। তাদের বক্তব্য, হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসবে যেভাবে শারজিল-খালিদদের রাবণ হিসেবে দেখানো হয়েছে তা মানা যায় না।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাছাড়া শারজিল-খালিদ আদালতেও দোষী প্রমাণিত হননি। এ অবস্থায় তাদের রাবণ হিসেবে দেখানো ব্যক্তি সম্মান ও মর্যাদায় আঘাত করার সমান। এ ধরনের কাজ সংবিধান বিরোধী। গেরুয়া শিবির যে সংবিধান মানে না এই ঘটনা থেকে তা আবার স্পষ্ট হয়েছে। সংবিধানকে অমান্য করে, মানুষের নিজ নিজ ধর্মপালন ও সংখ্যালঘুদের নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির অধিকারকে লঙ্ঘন করে এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে অমান্য করে মুসলিম প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বিচারে এখনো বুলডোজার চালাচ্ছে গেরুয়া-প্রশাসন।
সম্প্রতি ‘আই লাভ মুহাম্মদ (সা.)’ ব্যানার টাঙানোর ‘অপরাধে’ যোগী-রাজ্যে (উত্তরপ্রদেশে) যে অত্যাচার চলছে তার প্রতিবাদ করায় সেখানকার আলেম তথা মাওলানা তওকীর রাজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর তা নিয়ে যোগী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘মাওলানা ভুলে গিয়েছেন ক্ষমতায় কারা রয়েছে।’ আর কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা পদ্ম শিবিরের অন্যতম নেতা অনুরাগ ঠাকুর তো আগেই মুসলিমদের গুলি করে মারার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘গোলি মারো শালোকো...’।
জেএনইউ শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, হিন্দুত্ববাদী শাসকরা মনে করে সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদ করারও অধিকার নেই। তারা আরএসএসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা গোলওয়ালকরের মতো মুসলিমদের ‘দ্বিতীয় শ্রেণি’র নাগরিক হিসেবে দেখতে চায়। সেজন্য কখনো ‘লাভ জিহাদ’-এর নামে কখনো ‘ল্যান্ড জিহাদ’-এর নামে কখনো ‘গো-পাচার’-এর নামে নতুন নতুন ‘শব্দবন্ধ’ ব্যবহার করে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
এবিভিপির এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদে শামিল হয় আইসা, এসএফআই এবং ডিএসএফসহ বামপন্থি ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাও। কেন শারজিল-খালিদদের রাবণ হিসেবে দেখানো হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবিভিপির বিরুদ্ধে পোস্টার প্রদর্শনের পাশাপাশি জুতা হাতে প্রতিবাদ জানান তারা। এক পর্যায়ে এবিভিপি ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে রীতিমতো সংঘর্ষ বেধে যায়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় জেএনইউ ক্যাম্পাসে।
বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে এবিভিপি। তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে আইসা, ডিএসএফ, এসএফআই-এর মতো সংগঠন। আইসা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শারজিল-খালিদদের রাবণ হিসেবে দেখিয়ে ‘রাবণ-দহন’ করছিল এবিভিপি। এটা ইসলাম-বিদ্বেষের ঘৃণ্য নিদর্শন। রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য এভাবে ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
অন্যদিকে এবিভিপি আবার অভিযোগ করেছে, তাদের দুর্গা বিসর্জন শোভাযাত্রায় হামলা চালিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। তাতে তাদের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহতও হয়েছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি শিল্পনগরী এলাকা কানপুর। গত ৪ সেপ্টেম্বর কানপুরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা সৈয়দ নগরে ঈদে মিলাদুন্নবি উদ্যাপন উপলক্ষে সন্ধ্যায় একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়।
২১ মিনিট আগেসম্প্রতি বায়ু দূষণ কমানোর জন্য রাজধানীতে পেট্রোলচালিত মোটরবাইকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভিয়েতনাম প্রশাসন। যা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে, পরিকল্পিত এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের বাজার হারাবে বলে আশঙ্কা করছে জাপান সরকার এবং দেশের কিছু শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা।
৩৩ মিনিট আগেগাজায় সাফল্য অর্জনের জন্য যে অনুকূল পরিস্থিতি পেয়েছিল ট্রাম্পের প্রধান কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ ও তার দল, সেটা ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে তৈরি করা কঠিন হতে পারে, কারণ এই যুদ্ধ প্রায় চার বছর ধরে চলছে।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্রায়ানস্ক সীমান্ত অঞ্চলে একটি রাশিয়ান রাসায়নিক কারখানায় যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে।
১ ঘণ্টা আগে