ভারতে বেড়েছে কৃষকদের আত্মহত্যা, মোদিকে দোষারোপ

বিশেষ প্রতিনিধি, কলকাতা
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২: ৫১

ভারতের মধ্যপ্রদেশে গত সপ্তাহে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন মদন নামের এক কৃষক (৪০)। দিবল গ্রামের বাসিন্দা মদন কৃষিকাজের জন্য ধার করে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এছাড়া মেয়েকে বিয়ে দেওয়া নিয়েও উদ্বেগে ছিলেন তিনি।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন মদন। গত বুধবার সকালে নিজ জমির মধ্যেই একটি কূপের কাছে তার লাশ পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

পরিবারের লোকজন জানায়, স্থানীয় সমবায় সমিতি, মহাজন এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে এক হেক্টর জমিতে ভুট্টা এবং আট একর জমিতে সয়াবিন চাষ করেছিলেন মদন। কিন্তু ফসল সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তিনি। এই সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করা হলেও মধ্যপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি মদন।

এই ঘটনার পর, স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারা খন্ডওয়া কালেক্টরেটের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের প্রশ্ন- মদন আত্মহত্যা করেছেন? নাকি মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে?

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) বলছে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, গোয়া, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, চণ্ডীগড়, দিল্লি ও লক্ষদ্বীপে কৃষকদেরও ক্ষতি হয়। কিন্তু কৃষকদের আত্মহত্যার করা লাগে না। কারণ ফসলের ক্ষতি হলে রাজ্য সরকার তাদের ভর্তুকি দেয়।

এনসিআরবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতে মোট ১০ হাজার ৭৮৬ কৃষক ও কৃষিশ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে চার হাজার ৬৯০ জন কৃষক নিজের জমিতে আর ছয় হাজার ৯৬ জন কৃষিশ্রমিক অন্যের জমিতে কাজ করতেন।

দেশের কৃষক সংগঠনগুলো এই পরিস্থিতির জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের নীতিকে দায়ী করছে। তাদের বক্তব্য এই ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে তুলো চাষের ক্ষেত্রে।

অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালে বলেন, গত কয়েক বছরে ১০ হাজারের বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এটা মোদি সরকারের কৃষকদের সমস্যাকে গুরুত্ব না দেওয়ার প্রমাণ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত