মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেফ্রি এপস্টেইন সংক্রান্ত আরও নথি প্রকাশ বাধ্যতামূলক করার বিলে স্বাক্ষর করেছেন। নতুন আইনের অধীনে বিচার বিভাগকে এপস্টেইন তদন্ত–সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য ৩০ দিনের মধ্যে খোলা, সার্চযোগ্য এবং ডাউনলোডযোগ্য আকারে প্রকাশ করতে হবে।
এর আগে ট্রাম্প এ ধরনের নথি প্রকাশের বিরোধিতা করলেও গত সপ্তাহে তিনি অবস্থান বদলান। ভুক্তভোগীদের পাশাপাশি রিপাবলিকান দলে থাকা কয়েকজনের চাপের পর তিনি বিলটির প্রতি সমর্থন জানান। ট্রাম্পের সমর্থনের পর মঙ্গলবার প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেট—দুই কক্ষেই বিলটি ব্যাপক ব্যবধানে পাস হয়।
বিলটিতে স্বাক্ষরের পর বুধবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক মন্তব্যে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ডেমোক্র্যাটরা তার প্রশাসনের সাফল্য থেকে জনমনোযোগ সরাতে ইচ্ছাকৃতভাবে এ বিষয়টিকে সামনে এনেছে। তিনি আরও ইঙ্গিত দেন যে ডেমোক্র্যাটদের এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ‘খুব শিগগিরই’ প্রকাশ পেতে পারে।
প্রতিনিধি পরিষদে ৪২৭–১ ভোটে বিলটি পাস হয়, আর সিনেট সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন দেয়।
এর আগে গত সপ্তাহে এপস্টেইনের এস্টেট থেকে প্রায় ২০ হাজার পৃষ্ঠার নথি প্রকাশিত হয়, যেখানে ট্রাম্পের নামও কিছু জায়গায় উঠে এসেছে। প্রকাশিত নথির মধ্যে ২০১৮ সালের কয়েকটি বার্তায় এপস্টেইন ট্রাম্প সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন—‘আমি-ই তাকে নামিয়ে দিতে পারি’এবং ‘আমি জানি ডোনাল্ড কতটা নোংরা।’
এপস্টেইন যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০১৯ সালে কারাগারে মারা যান। ট্রাম্প বহু বছর এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন; তবে তিনি দাবি করেন যে ২০০০-এর দশকের শুরুতেই তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়, যা এপস্টেইনের প্রথম গ্রেপ্তারের দুই বছর আগে। রাজনীতি, গণমাধ্যম ও বিনোদন জগতের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল—যাদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রিন্স অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর, ডোনাল্ড ট্রাম্প, ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননসহ আরও অনেকে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি নিউজ
এসআর

