মাহফুজ সাদি
একাত্তরের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম গুমের শিকার হয়েছিলেন সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) এমএ জলিল। ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি ভারতীয় বাহিনী দ্বারা গুম হন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের পর ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের চেষ্টা করায় তাকে গুম করা হয়। এরপর মেজর এমএ জলিলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং কার্যত নজরবন্দি রাখা হয় ১৯৭২ সালের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ফলে স্বাধীন দেশের প্রথম রাজবন্দি ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সব সেক্টর কমান্ডারকে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হলেও শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তাকে কোনো খেতাব দেওয়া হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মেজর জলিল ১৯৭১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিয়ে বরিশালে আসেন এবং মার্চে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। বৃহত্তর বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও যশোরের কিছু অংশ নিয়ে এ সেক্টর গঠিত হয়। নবম সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিল ভারতের বশিরহাটের নিকটবর্তী টাকি। সেখান থেকে মেজর জলিল মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেন এবং গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করেন। পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মাধ্যমে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। মেজর জলিল খুলনায় অবস্থান করছিলেন। ১৭ ডিসেম্বর খুলনা সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে পরাজিত পাকিস্তান বাহিনীর ৮ হাজার সৈন্য আত্মসমর্পণ করে। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ৯ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন মেজর জলিল। অনুষ্ঠান শেষে তিনি তাকিয়ে দেখেন তার সদ্য স্বাধীন দেশকে। তখন মেজর জলিল বলেছিলেন, ‘প্রাণভরে দেখলাম আমার স্বাধীন দেশকে, আমার বাংলাদেশকে।’
উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হওয়ায় মেজর জলিল চেয়েছিলেন তার কাছে আত্মসমর্পণ করবে পাকিস্তানি বাহিনী। কিন্তু ভারতীয় মিত্রবাহিনী সেটা হতে দেয়নি। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে সামনে দাঁড়াতে চাইলেও মেজর জলিলকে পেছনে ঠেলে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ করায় একটি জরাজীর্ণ কক্ষে তাকে বন্দি করে রাখে ভারতীয় বাহিনী।
১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর বরিশালে সেক্টর কমান্ডার এমএ জলিলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২১ ডিসেম্বর শহরের হেমায়েতউদ্দিন মাঠে জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর লুটপাট ও যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করায় চক্রান্তের শিকার হন এবং ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোরে মুক্তিবাহিনীর লোকের হাতে গ্রেফতার হন মেজর জলিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ দৈনিক আমার দেশকে বলেন, তখন সদ্য স্বাধীন দেশে কোনো প্রশাসন ছিল না। ভারতীয় বাহিনী ছিল, বাংলাদেশের বাহিনীও ছিল। ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেজর জলিলসহ আরও কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন কি-না, তা আমি জানি না। তবে তার গ্রেপ্তার নিয়ে ধোঁয়াশা আছে।
মেজর জলিল তার বইয়ে বলেছেন, তাকে ভারতীয় বাহিনী গ্রেপ্তার করেছিল— এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাসদ থেকে বলা হয় মেজর জলিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি। গ্রেপ্তার নিয়ে অনেক সময় অনেক রকমের রাজনীতি হয়ে থাকে…।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব আমার দেশকে বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার প্রশ্নে এবং দেশের সম্পদ রক্ষার্থে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ জলিলকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাধীন দেশের প্রথম রাজবন্দি তিনি। মুক্তিযুদ্ধে মেজর জলিলের বীরত্ব, ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি পাঁচ মাস ছয় দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই মুক্তিলাভ করেন। পরবর্তীতে মেজর জলিল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে নেতৃত্ব দেন।
রব আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন একমাত্র সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল, যাকে আধিপত্যবাদী আগ্রাসন ও তৎকালীন আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার কারণে কোনো বীরত্বসূচক উপাধি প্রদান করা হয়নি। এটা সমগ্র মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মানের শামিল। সেক্টর কমান্ডারসহ কৃতী মুক্তিযোদ্ধাদের অনেককে নানা সম্মানসূচক উপাধি দেওয়া হলেও একমাত্র মেজর জলিলকেই বঞ্চিত করা হয়, এটা ভয়াবহ অন্যায়। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের অনন্যসাধারণ বীর মেজর এমএ জলিলকে ‘বীর উত্তম’রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান করে ইতিহাসকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক। বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে মেজর জলিলের অস্তিত্ব প্রথিত হয়ে আছে।
একাত্তরের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম গুমের শিকার হয়েছিলেন সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) এমএ জলিল। ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি ভারতীয় বাহিনী দ্বারা গুম হন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের পর ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের চেষ্টা করায় তাকে গুম করা হয়। এরপর মেজর এমএ জলিলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং কার্যত নজরবন্দি রাখা হয় ১৯৭২ সালের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ফলে স্বাধীন দেশের প্রথম রাজবন্দি ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সব সেক্টর কমান্ডারকে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হলেও শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তাকে কোনো খেতাব দেওয়া হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মেজর জলিল ১৯৭১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিয়ে বরিশালে আসেন এবং মার্চে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। বৃহত্তর বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও যশোরের কিছু অংশ নিয়ে এ সেক্টর গঠিত হয়। নবম সেক্টরের হেডকোয়ার্টার ছিল ভারতের বশিরহাটের নিকটবর্তী টাকি। সেখান থেকে মেজর জলিল মুক্তিবাহিনীর নেতৃত্ব দেন এবং গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করেন। পাকিস্তানি বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মাধ্যমে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। মেজর জলিল খুলনায় অবস্থান করছিলেন। ১৭ ডিসেম্বর খুলনা সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে পরাজিত পাকিস্তান বাহিনীর ৮ হাজার সৈন্য আত্মসমর্পণ করে। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ৯ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে উপস্থিত ছিলেন মেজর জলিল। অনুষ্ঠান শেষে তিনি তাকিয়ে দেখেন তার সদ্য স্বাধীন দেশকে। তখন মেজর জলিল বলেছিলেন, ‘প্রাণভরে দেখলাম আমার স্বাধীন দেশকে, আমার বাংলাদেশকে।’
উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হওয়ায় মেজর জলিল চেয়েছিলেন তার কাছে আত্মসমর্পণ করবে পাকিস্তানি বাহিনী। কিন্তু ভারতীয় মিত্রবাহিনী সেটা হতে দেয়নি। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে সামনে দাঁড়াতে চাইলেও মেজর জলিলকে পেছনে ঠেলে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ করায় একটি জরাজীর্ণ কক্ষে তাকে বন্দি করে রাখে ভারতীয় বাহিনী।
১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর বরিশালে সেক্টর কমান্ডার এমএ জলিলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২১ ডিসেম্বর শহরের হেমায়েতউদ্দিন মাঠে জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর লুটপাট ও যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করায় চক্রান্তের শিকার হন এবং ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর যশোরে মুক্তিবাহিনীর লোকের হাতে গ্রেফতার হন মেজর জলিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ দৈনিক আমার দেশকে বলেন, তখন সদ্য স্বাধীন দেশে কোনো প্রশাসন ছিল না। ভারতীয় বাহিনী ছিল, বাংলাদেশের বাহিনীও ছিল। ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেজর জলিলসহ আরও কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন কি-না, তা আমি জানি না। তবে তার গ্রেপ্তার নিয়ে ধোঁয়াশা আছে।
মেজর জলিল তার বইয়ে বলেছেন, তাকে ভারতীয় বাহিনী গ্রেপ্তার করেছিল— এমনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাসদ থেকে বলা হয় মেজর জলিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি। গ্রেপ্তার নিয়ে অনেক সময় অনেক রকমের রাজনীতি হয়ে থাকে…।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব আমার দেশকে বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার প্রশ্নে এবং দেশের সম্পদ রক্ষার্থে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ জলিলকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাধীন দেশের প্রথম রাজবন্দি তিনি। মুক্তিযুদ্ধে মেজর জলিলের বীরত্ব, ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি পাঁচ মাস ছয় দিন বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই মুক্তিলাভ করেন। পরবর্তীতে মেজর জলিল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে নেতৃত্ব দেন।
রব আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন একমাত্র সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল, যাকে আধিপত্যবাদী আগ্রাসন ও তৎকালীন আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার কারণে কোনো বীরত্বসূচক উপাধি প্রদান করা হয়নি। এটা সমগ্র মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মানের শামিল। সেক্টর কমান্ডারসহ কৃতী মুক্তিযোদ্ধাদের অনেককে নানা সম্মানসূচক উপাধি দেওয়া হলেও একমাত্র মেজর জলিলকেই বঞ্চিত করা হয়, এটা ভয়াবহ অন্যায়। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের অনন্যসাধারণ বীর মেজর এমএ জলিলকে ‘বীর উত্তম’রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদান করে ইতিহাসকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক। বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে মেজর জলিলের অস্তিত্ব প্রথিত হয়ে আছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৪ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে