মাহমুদা ডলি
রাজধানীর নতুন বাজার (মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফুট) থেকে বালু নদীমুখী সড়কটির করুণদশা কাটছেই না। বৃষ্টিতে দ্বিগুণ দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার খানাখন্দ সীমাহীন কষ্ট দিচ্ছে শিক্ষার্থী ও অসুস্থদের। দুই বছর ধরে এ দুরবস্থা দেখতে দেখতে এলাকাবাসী চরম বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ।
ঢাকা ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ি শেষে এখন খুঁড়ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এতে বেহাল এই সড়কে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। ধীরগতিতে যান চলাচল করায় যানজট লেগেই থাকছে। বৃষ্টির কারণে খানাখন্দগুলো বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় দুর্ঘটনা আরো বেড়ে যায়। কখনো যাত্রীসহ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আবার কখনো পণ্যবাহী পিকআপ কাদায় দেবে যাচ্ছে। এছাড়া সড়কের পাশে অবৈধ দোকানপাট এবং দর্শনার্থীদের কারণেও যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সরেজমিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, পথচারী, রিকশাচালক, অটোচালক এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফুট সড়কটির ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই’ প্রকল্পের অধীন দুই বছর পর ঢাকা ওয়াসার উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। এক পাশে প্রায় ছয় ফুটের দুটি পাইপ বসানো হয়। ১০ থেকে ১৫ ফুট গর্ত এবং ১৮ ফুট জায়গাজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। এতে সড়কটি এখনো ব্যবহারের অনুপযোগী রয়ে গেছে।
নতুন বাজার থেকে বালু নদীমুখী সড়কের ভাটারা থানার সামনে থেকে নূরেরচালার সংযোগ সড়ক পার হয়ে আরো অন্তত ২০০ ফুট পর্যন্ত খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। তবে সড়ক মেরামতে ভিন্ন প্রকল্পের কাজে বৃষ্টিকেই প্রধান সমস্যা হিসেবে তুলে ধরেছে রাজউক।
সড়কের দুই পাশে বসে বহু দোকান। এসব ঘিরে আনাগোনা থাকে প্রচুর মানুষের। এতে রাস্তাটি আরো সরু হয়ে যায়। এমনকি রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো থেকে ময়লা উঠিয়ে ফুটপাতের ওপর রাখা হয়। এ কারণে দুর্গন্ধে পথচারী ও স্থানীয়দের নানা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘদিন সড়কটি বেহাল পড়ে থাকায় আশপাশের মার্কেটে কেনাবেচা কমেছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। কোনো কোনো দিন বেচাকেনা শূন্যও থাকছে।
ফরাজি হাসপাতাল থেকে ভাটারা থানার ডেসকো পর্যন্ত সড়কের দুই পাশেই খানাখন্দে ভরা। এক পাশে রাজউক, অন্য পাশে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ রাস্তা খুঁড়ছে। প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল এবং পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা একের পর এক অজুহাতে সড়কটি ক্ষতবিক্ষত করে জনভোগান্তি বাড়িয়ে চলছে। সড়কটিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য বর্ষার আগে মিছিলও করেন স্থানীয়রা।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সামসুজ্জামান। তিনি মিরপুর থেকে প্রতিদিন অফিস করতে আসেন। তিনি আমার দেশকে বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে আমরা দুর্ভোগের মধ্যে আছি। গ্রীষ্মকালে পুরো এলাকা থাকে ধুলার রাজ্য আর এখন বৃষ্টির মৌসুমে হাঁটুসমান কাদা-পানি। রাস্তায় গাড়িতেও চলাফেরা এখন ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফ্যামিলি মার্কেট এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী আমার দেশকে বলেন, দিন দিন মৃত্যুকূপের মতো হয়ে যাচ্ছে রাস্তাটি। মানুষ মারা না গেলেও দুর্ঘটনা তো ঘটছে। এখানে মেডিকেল কলেজ, ইউনিভার্সিটি, স্কুল এবং মাদরাসা আছে। প্রতিনিয়ত এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে।
রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) এবং মাদানী অ্যাভিনিউ থেকে বালু নদী পর্যন্ত (মেজর রোড-৫) প্রশস্তকরণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কাইছার বলেন, মাদানী অ্যাভিনিউ সড়কে খানাখন্দের কারণে তীব্র জনভোগান্তি হচ্ছে। ওয়াসার জন্য সমস্যাগুলো হচ্ছে। ওয়াসার কাজ শেষ হওয়ার কথা ডিসেম্বরের মধ্যে কিন্তু তারা সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। এজন্য রাজউকের কাজ হাতে নিতে সময় লেগেছে। ভোগান্তি কমাতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। ঠিকাদাররা রোলার করে ছোট গর্তগুলো ভরাটের কাজ করছেন। তবে বৃষ্টিতে সমস্যা হচ্ছে, কাজগুলো টেকসই হচ্ছে না। বৃষ্টি শেষ না হলে কাজ শেষ করা যাবে না। আপাতত খানাখন্দগুলো ভরাট করে দুর্ভোগ কমানোর ব্যবস্থা চলছে। এতে আরো এক মাসের মতো লাগবে। পুরো সড়কের কাজ শেষ হতে তিন মাস লাগতে পারে।
রাজধানীর নতুন বাজার (মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফুট) থেকে বালু নদীমুখী সড়কটির করুণদশা কাটছেই না। বৃষ্টিতে দ্বিগুণ দুর্ভোগে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার খানাখন্দ সীমাহীন কষ্ট দিচ্ছে শিক্ষার্থী ও অসুস্থদের। দুই বছর ধরে এ দুরবস্থা দেখতে দেখতে এলাকাবাসী চরম বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ।
ঢাকা ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ি শেষে এখন খুঁড়ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এতে বেহাল এই সড়কে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। ধীরগতিতে যান চলাচল করায় যানজট লেগেই থাকছে। বৃষ্টির কারণে খানাখন্দগুলো বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় দুর্ঘটনা আরো বেড়ে যায়। কখনো যাত্রীসহ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আবার কখনো পণ্যবাহী পিকআপ কাদায় দেবে যাচ্ছে। এছাড়া সড়কের পাশে অবৈধ দোকানপাট এবং দর্শনার্থীদের কারণেও যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সরেজমিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, পথচারী, রিকশাচালক, অটোচালক এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফুট সড়কটির ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই’ প্রকল্পের অধীন দুই বছর পর ঢাকা ওয়াসার উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। এক পাশে প্রায় ছয় ফুটের দুটি পাইপ বসানো হয়। ১০ থেকে ১৫ ফুট গর্ত এবং ১৮ ফুট জায়গাজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। এতে সড়কটি এখনো ব্যবহারের অনুপযোগী রয়ে গেছে।
নতুন বাজার থেকে বালু নদীমুখী সড়কের ভাটারা থানার সামনে থেকে নূরেরচালার সংযোগ সড়ক পার হয়ে আরো অন্তত ২০০ ফুট পর্যন্ত খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। তবে সড়ক মেরামতে ভিন্ন প্রকল্পের কাজে বৃষ্টিকেই প্রধান সমস্যা হিসেবে তুলে ধরেছে রাজউক।
সড়কের দুই পাশে বসে বহু দোকান। এসব ঘিরে আনাগোনা থাকে প্রচুর মানুষের। এতে রাস্তাটি আরো সরু হয়ে যায়। এমনকি রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো থেকে ময়লা উঠিয়ে ফুটপাতের ওপর রাখা হয়। এ কারণে দুর্গন্ধে পথচারী ও স্থানীয়দের নানা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দীর্ঘদিন সড়কটি বেহাল পড়ে থাকায় আশপাশের মার্কেটে কেনাবেচা কমেছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। কোনো কোনো দিন বেচাকেনা শূন্যও থাকছে।
ফরাজি হাসপাতাল থেকে ভাটারা থানার ডেসকো পর্যন্ত সড়কের দুই পাশেই খানাখন্দে ভরা। এক পাশে রাজউক, অন্য পাশে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ রাস্তা খুঁড়ছে। প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল এবং পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা একের পর এক অজুহাতে সড়কটি ক্ষতবিক্ষত করে জনভোগান্তি বাড়িয়ে চলছে। সড়কটিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য বর্ষার আগে মিছিলও করেন স্থানীয়রা।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সামসুজ্জামান। তিনি মিরপুর থেকে প্রতিদিন অফিস করতে আসেন। তিনি আমার দেশকে বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে আমরা দুর্ভোগের মধ্যে আছি। গ্রীষ্মকালে পুরো এলাকা থাকে ধুলার রাজ্য আর এখন বৃষ্টির মৌসুমে হাঁটুসমান কাদা-পানি। রাস্তায় গাড়িতেও চলাফেরা এখন ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফ্যামিলি মার্কেট এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী আমার দেশকে বলেন, দিন দিন মৃত্যুকূপের মতো হয়ে যাচ্ছে রাস্তাটি। মানুষ মারা না গেলেও দুর্ঘটনা তো ঘটছে। এখানে মেডিকেল কলেজ, ইউনিভার্সিটি, স্কুল এবং মাদরাসা আছে। প্রতিনিয়ত এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে।
রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) এবং মাদানী অ্যাভিনিউ থেকে বালু নদী পর্যন্ত (মেজর রোড-৫) প্রশস্তকরণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ কাইছার বলেন, মাদানী অ্যাভিনিউ সড়কে খানাখন্দের কারণে তীব্র জনভোগান্তি হচ্ছে। ওয়াসার জন্য সমস্যাগুলো হচ্ছে। ওয়াসার কাজ শেষ হওয়ার কথা ডিসেম্বরের মধ্যে কিন্তু তারা সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। এজন্য রাজউকের কাজ হাতে নিতে সময় লেগেছে। ভোগান্তি কমাতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। ঠিকাদাররা রোলার করে ছোট গর্তগুলো ভরাটের কাজ করছেন। তবে বৃষ্টিতে সমস্যা হচ্ছে, কাজগুলো টেকসই হচ্ছে না। বৃষ্টি শেষ না হলে কাজ শেষ করা যাবে না। আপাতত খানাখন্দগুলো ভরাট করে দুর্ভোগ কমানোর ব্যবস্থা চলছে। এতে আরো এক মাসের মতো লাগবে। পুরো সড়কের কাজ শেষ হতে তিন মাস লাগতে পারে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৪ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে