বিশেষ প্রতিনিধি, কলকাতা
বাংলাদেশিদের ভ্রমণের তালিকায় শীর্ষ গন্তব্য ছিল ভারত। নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত ছিল বহু মানুষের। এছাড়া চিকিৎসা করাতেও প্রচুর রোগী বাংলাদেশ থেকে আসতেন। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের পর সেই চিত্র পাল্টে গেছে। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশিরা। তাদের গন্তব্য এখন পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও চীন। এতে বিপাকে পড়ে ভারতের পর্যটনশিল্প। একই কায়দায় নেপালের পটপরিবর্তন হওয়ায় মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা পড়েছে।
বাংলাদেশিরা দক্ষিণ ভারত ও কলকাতায় আসতেন চিকিৎসার জন্য, কেনাকাটা করতেন নিউমার্কেটে। কিন্তু শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় সে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এতে পর্যটন, গার্মেন্টস ও চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাপক লোকসান হচ্ছে ভারতের ব্যবসায়ীদের। এবার নেপালেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘটল। পূজার ঠিক আগে এ ঘটনা ঘুম কাড়ছে পর্যটন সংস্থাগুলোর।
ভারত থেকে বিনা বাধায় সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে যাওয়া যায় অন্য একটি দেশ, তথা নেপালে। পাসপোর্ট, ভিসার ঝামেলা নেই, নামমাত্র ফি দিয়ে নিবন্ধন করলেই গোটা দেশে যতদিন খুশি থাকাও যায়। বিদেশযাত্রার এমন সুযোগ হাতছাড়া করার মতো বোকা বাঙালি নয়, তাই ফুরসত পেলেই ঘরের পাশের বিদেশে ঢুঁ মারেন ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিরা।
সে কারণে শিলিগুড়ির পানিট্যাংকি আর মিরিকের পশুপতি, উত্তরবঙ্গ হয়ে নেপালে প্রবেশের দুই রুটের জনপ্রিয়তা শেষ কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে। ‘নেপাল মানে, জীবনভর অভিজ্ঞতা’ এ স্লোগানে গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গ হয়ে বুদ্ধের দেশ ঘুরে এসেছেন ভারতীয় পর্যটকদের একটা বড় অংশ। ফলে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে উত্তরবঙ্গ। তবে নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে সেই পর্যটন ব্যবসা বড় ক্ষতির মুখে পড়ল।
পর্যটনে অস্বাভাবিক হারে নানা ধরনের কর বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ভারতীয়রা আর ভুটানমুখী হচ্ছেন না। প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশি পর্যটক উত্তরবঙ্গ আসতেন এবং এখান থেকেই নেপাল, ভুটানের বিভিন্ন এলাকায় যেতেন। রাজনৈতিক অস্থিরতায় সে দেশ থেকে পর্যটক আসছেন খুবই কম। কার্যত, গোটা সিকিম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ধস নেমে বহু জায়গায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে সিকিমের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এবার বিপর্যয় নেমে এলো নেপাল ঘিরে। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গকে হাব করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটন প্রসারের সম্ভাবনায় অনেক বড় ঢাক্কা লাগল বলেই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি পূজাকেন্দ্রিক মৌসুমি ব্যবসাও মূলত দার্জিলিং এবং ডুয়ার্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেল।
নেপালের পর্যটন ব্যবসায়ী উদয় শ্রেষ্ঠা বলেন, ‘ভূমিকম্প পর্যটন ব্যবসায় দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছিল। করোনার পর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। এবার যা হলো তাতে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে পর্যটনের। পর্যটকদের মনে নেপাল সম্পর্কে যে ভয় ঢুকল তা সহজে কাটবে না। ভরা মৌসুমে আমাদের কোমর ভেঙে গেল।’
পর্যটক টানতে সম্প্রতি দুদেশের ব্যবসায়ী ও সরকারি প্রতিনিধিরা মিলে নেপাল ও দার্জিলিংয়ের অফবিট জায়গাগুলো নিয়ে নতুন পর্যটন ম্যাপ তৈরি করেছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই তা প্রকাশ হওয়ার কথাও ছিল। সে প্রচেষ্টা আপাতত জলে গেল। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তর ও নেপাল পর্যটন বোর্ডের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ, এ সাত মাস সবচেয়ে বেশি ভারতীয় পর্যটক নেপাল ভ্রমণ করেন। তাদের সিংহভাগই যান উত্তরবঙ্গ হয়ে।
নেপাল পর্যটন বোর্ডের তথ্য বলছে, চলতি বছর আগস্টে ৩৫ হাজার ৫০৫ ভারতীয় পর্যটক নেপাল ভ্রমণে গিয়েছিলেন, ২০২৪-এ যে সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৮৩৩। পর্যটকদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে হিমালয়ের দেশটি। ওই পর্যটকদের অর্ধেকেরও বেশি গিয়েছেন উত্তরবঙ্গ হয়ে। ফলে উত্তরের ট্যুর অপারেটর থেকে গাইড, গাড়ির চালক, স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক সবাই লাভবান হন। শুধু বুদ্ধের স্মৃতিধন্য এলাকাগুলো ঘুরে দেখতে প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক আসেন ভারত ও নেপালে।
ভুটান, সিকিম, কালিম্পং, নেপাল ঘুরে তারা দেশে ফিরে যান। ইদানীং দার্জিলিং বা মিরিকের পাশাপাশি নেপালের কন্যম, ইলম নিয়ে তৈরি ভ্রমণ প্যাকেজও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তাছাড়া অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমেও নেপাল বিশ্বমানচিত্রে নতুনভাবে জায়গা করে নিয়েছে। শুধু কাঠমান্ডু বা পোখরি নয়, ভেনেটার, ধারান, ধনকুটার মতো জায়গাগুলোতেও বুকিং বাড়ছে। সীমান্ত পর্যটন নিয়ে গত এক বছরে নেপাল ও ভারত সরকারি পর্যায়ে যৌথভাবে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আপাতত সেসবে ইতি পড়ল বলেই মনে করছেন রাজ্য পর্যটন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জিটিএর প্রধান নির্বাহী অনীত থাপা। তার ভাষ্য, ‘বৃহত্তর পর্যটনের স্বার্থে তারা দার্জিলিং ও নেপালকে জুড়ে অনেক প্যাকেজ ট্যুর তৈরি করেছিলেন। দুদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সেভাবে আলোচনা করে সব ঠিক হয়েছিল। তাতে ভালো সাড়াও মিলছিল। আপাতত সে প্যাকেজ হবে না। ফলে কিছুটা হলেও দার্জিলিংয়ের পর্যটনের ক্ষতি হবে।’
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘সাময়িক ক্ষতির চাইতেও বড় কথা নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতায় সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গের পর্যটনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আঘাত লাগল।’
পূজায় চার পরিবার মিলে কাঠমান্ডু যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন শিলিগুড়ির সুমন দেবগুপ্ত। হোটেল, গাড়ি সব বুকিং হয়ে গিয়েছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর বুকিং বাতিল করেছেন তিনি। নেপালের বদলে অরুণাচল যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তারা।
এখনো নেপালের বুকিং বাতিল না করলেও অনেকেই নেপাল বাদে নতুন করে প্যাকেজ তৈরির অনুরোধ করছেন বলেই জানিয়েছেন সম্রাট। ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা দেবাশিস মৈত্র বলেন, ‘অনেক বুকিং কার্যত বাতিলের মুখে। নেপাল পূজার মুখে আমাদের বড় ক্ষতির কারণ হয়ে গেল।’
নেপালের পরিস্থিতি বুদ্ধকেন্দ্রিক পর্যটনে সমস্যা তৈরি করায় তাদেরও ক্ষতি হবে বলেই মন্তব্য করেছেন সিকিমের পর্যটনমন্ত্রী শেরিং থেনডুপ ভুটিয়া।
বাংলাদেশিদের ভ্রমণের তালিকায় শীর্ষ গন্তব্য ছিল ভারত। নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত ছিল বহু মানুষের। এছাড়া চিকিৎসা করাতেও প্রচুর রোগী বাংলাদেশ থেকে আসতেন। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের পর সেই চিত্র পাল্টে গেছে। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশিরা। তাদের গন্তব্য এখন পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও চীন। এতে বিপাকে পড়ে ভারতের পর্যটনশিল্প। একই কায়দায় নেপালের পটপরিবর্তন হওয়ায় মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা পড়েছে।
বাংলাদেশিরা দক্ষিণ ভারত ও কলকাতায় আসতেন চিকিৎসার জন্য, কেনাকাটা করতেন নিউমার্কেটে। কিন্তু শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় সে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। এতে পর্যটন, গার্মেন্টস ও চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাপক লোকসান হচ্ছে ভারতের ব্যবসায়ীদের। এবার নেপালেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঘটল। পূজার ঠিক আগে এ ঘটনা ঘুম কাড়ছে পর্যটন সংস্থাগুলোর।
ভারত থেকে বিনা বাধায় সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে যাওয়া যায় অন্য একটি দেশ, তথা নেপালে। পাসপোর্ট, ভিসার ঝামেলা নেই, নামমাত্র ফি দিয়ে নিবন্ধন করলেই গোটা দেশে যতদিন খুশি থাকাও যায়। বিদেশযাত্রার এমন সুযোগ হাতছাড়া করার মতো বোকা বাঙালি নয়, তাই ফুরসত পেলেই ঘরের পাশের বিদেশে ঢুঁ মারেন ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিরা।
সে কারণে শিলিগুড়ির পানিট্যাংকি আর মিরিকের পশুপতি, উত্তরবঙ্গ হয়ে নেপালে প্রবেশের দুই রুটের জনপ্রিয়তা শেষ কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে। ‘নেপাল মানে, জীবনভর অভিজ্ঞতা’ এ স্লোগানে গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গ হয়ে বুদ্ধের দেশ ঘুরে এসেছেন ভারতীয় পর্যটকদের একটা বড় অংশ। ফলে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে উত্তরবঙ্গ। তবে নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে সেই পর্যটন ব্যবসা বড় ক্ষতির মুখে পড়ল।
পর্যটনে অস্বাভাবিক হারে নানা ধরনের কর বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ভারতীয়রা আর ভুটানমুখী হচ্ছেন না। প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশি পর্যটক উত্তরবঙ্গ আসতেন এবং এখান থেকেই নেপাল, ভুটানের বিভিন্ন এলাকায় যেতেন। রাজনৈতিক অস্থিরতায় সে দেশ থেকে পর্যটক আসছেন খুবই কম। কার্যত, গোটা সিকিম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ধস নেমে বহু জায়গায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে সিকিমের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এবার বিপর্যয় নেমে এলো নেপাল ঘিরে। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গকে হাব করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটন প্রসারের সম্ভাবনায় অনেক বড় ঢাক্কা লাগল বলেই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি পূজাকেন্দ্রিক মৌসুমি ব্যবসাও মূলত দার্জিলিং এবং ডুয়ার্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেল।
নেপালের পর্যটন ব্যবসায়ী উদয় শ্রেষ্ঠা বলেন, ‘ভূমিকম্প পর্যটন ব্যবসায় দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি করেছিল। করোনার পর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। এবার যা হলো তাতে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে পর্যটনের। পর্যটকদের মনে নেপাল সম্পর্কে যে ভয় ঢুকল তা সহজে কাটবে না। ভরা মৌসুমে আমাদের কোমর ভেঙে গেল।’
পর্যটক টানতে সম্প্রতি দুদেশের ব্যবসায়ী ও সরকারি প্রতিনিধিরা মিলে নেপাল ও দার্জিলিংয়ের অফবিট জায়গাগুলো নিয়ে নতুন পর্যটন ম্যাপ তৈরি করেছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই তা প্রকাশ হওয়ার কথাও ছিল। সে প্রচেষ্টা আপাতত জলে গেল। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তর ও নেপাল পর্যটন বোর্ডের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ, এ সাত মাস সবচেয়ে বেশি ভারতীয় পর্যটক নেপাল ভ্রমণ করেন। তাদের সিংহভাগই যান উত্তরবঙ্গ হয়ে।
নেপাল পর্যটন বোর্ডের তথ্য বলছে, চলতি বছর আগস্টে ৩৫ হাজার ৫০৫ ভারতীয় পর্যটক নেপাল ভ্রমণে গিয়েছিলেন, ২০২৪-এ যে সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৮৩৩। পর্যটকদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে হিমালয়ের দেশটি। ওই পর্যটকদের অর্ধেকেরও বেশি গিয়েছেন উত্তরবঙ্গ হয়ে। ফলে উত্তরের ট্যুর অপারেটর থেকে গাইড, গাড়ির চালক, স্থানীয় ছোট ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক সবাই লাভবান হন। শুধু বুদ্ধের স্মৃতিধন্য এলাকাগুলো ঘুরে দেখতে প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক আসেন ভারত ও নেপালে।
ভুটান, সিকিম, কালিম্পং, নেপাল ঘুরে তারা দেশে ফিরে যান। ইদানীং দার্জিলিং বা মিরিকের পাশাপাশি নেপালের কন্যম, ইলম নিয়ে তৈরি ভ্রমণ প্যাকেজও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তাছাড়া অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমেও নেপাল বিশ্বমানচিত্রে নতুনভাবে জায়গা করে নিয়েছে। শুধু কাঠমান্ডু বা পোখরি নয়, ভেনেটার, ধারান, ধনকুটার মতো জায়গাগুলোতেও বুকিং বাড়ছে। সীমান্ত পর্যটন নিয়ে গত এক বছরে নেপাল ও ভারত সরকারি পর্যায়ে যৌথভাবে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আপাতত সেসবে ইতি পড়ল বলেই মনে করছেন রাজ্য পর্যটন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জিটিএর প্রধান নির্বাহী অনীত থাপা। তার ভাষ্য, ‘বৃহত্তর পর্যটনের স্বার্থে তারা দার্জিলিং ও নেপালকে জুড়ে অনেক প্যাকেজ ট্যুর তৈরি করেছিলেন। দুদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সেভাবে আলোচনা করে সব ঠিক হয়েছিল। তাতে ভালো সাড়াও মিলছিল। আপাতত সে প্যাকেজ হবে না। ফলে কিছুটা হলেও দার্জিলিংয়ের পর্যটনের ক্ষতি হবে।’
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘সাময়িক ক্ষতির চাইতেও বড় কথা নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতায় সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গের পর্যটনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আঘাত লাগল।’
পূজায় চার পরিবার মিলে কাঠমান্ডু যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন শিলিগুড়ির সুমন দেবগুপ্ত। হোটেল, গাড়ি সব বুকিং হয়ে গিয়েছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর বুকিং বাতিল করেছেন তিনি। নেপালের বদলে অরুণাচল যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তারা।
এখনো নেপালের বুকিং বাতিল না করলেও অনেকেই নেপাল বাদে নতুন করে প্যাকেজ তৈরির অনুরোধ করছেন বলেই জানিয়েছেন সম্রাট। ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা দেবাশিস মৈত্র বলেন, ‘অনেক বুকিং কার্যত বাতিলের মুখে। নেপাল পূজার মুখে আমাদের বড় ক্ষতির কারণ হয়ে গেল।’
নেপালের পরিস্থিতি বুদ্ধকেন্দ্রিক পর্যটনে সমস্যা তৈরি করায় তাদেরও ক্ষতি হবে বলেই মন্তব্য করেছেন সিকিমের পর্যটনমন্ত্রী শেরিং থেনডুপ ভুটিয়া।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১৪ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে