গাজী শাহনেওয়াজ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে আসনপ্রতি ব্যয় হবে গড়ে ১০ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের মধ্যে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে কেনাকাটাসহ নির্বাচন পরিচালনায়। আর নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের জন্য ১৫০ কোটির মতো ব্যয় হবে।
সংসদ নির্বাচনের জন্য এ সম্ভাব্য ব্যয় ধরে আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেট প্রস্তুত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর বাইরে ইউনিয়ন পরিষদসহ (ইউপি) স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭০০ কোটির বেশি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অবশ্য কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটা তাদের খসড়া হিসাব। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বাজেট কমবেশি হতে পারে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, তাতে চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের (২০২৬) প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে। এক্ষেত্রে আগামী জুনে নতুন অর্থবছরের যে বাজেট আসছে, সেখানেই সংসদ নির্বাচনের বরাদ্দ থাকার কথা। অবশ্য সরকার চাইলে বাজেটে পুরো বরাদ্দ না দিয়ে নির্বাচনের সময় জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের সুযোগ থাকে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য মোট সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় আট হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সংসদ নির্বাচনের জন্য দুই হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা। চারটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিটি করপোরেশনের জন্য ৩৬৭ কোটি, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই হাজার ১০৫ কোটি, পৌরসভা নির্বাচনের জন্য ৩১৩ কোটি এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ২৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনের ব্যয় পর্যালোচনা করে দেখা গেছে প্রতি বছরই এ ব্যয় বাড়ছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয় এক হাজার ৯২৭ কোটি টাকা। এবার তা বেড়ে প্রায় দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব হচ্ছে। এটাও সম্ভাব্য ব্যয় বলে ধারণা দিয়েছে নির্বাচনের বাজেট শাখা। সে হিসাবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে এক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হতে পারে।
এবার ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ইসির সংশ্লিষ্টরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিভিন্ন দেশে যুদ্ধবিগ্রহ চলমান থাকা, অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতি, জ্বালানি তেলের দামের হেরফের বা ওঠানামা করা, ডলারের উচ্চমূল্য, মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয়হীনতা ও নির্বাচনে ভোটের কেন্দ্র ও কমবেশি হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তারা জানান, একটি ভোটকেন্দ্র বাড়লে তার পেছনে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। প্রায় ছয় হাজার বেশি ভোটকেন্দ্র বাড়ায় স্বাভাবিকভাবে ব্যয় বাড়ানো ছাড়া নির্বাচন কমিশনের সামনে কোনো বিকল্প নেই।
বাজেট বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আমার দেশকে বলেন, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাজের ক্ষেত্র কম ছিল, এবার বেড়েছে। উদাহরণ হিসেবে ইসির এ কর্মকর্তা বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের সংখ্যা বেড়েছে। সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাস ও বর্তমান বাজার পরিস্থিতিসহ সামগ্রিক বিবেচনায় ব্যয় বেড়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
ইসির তথ্যউপাত্ত বলছে, দশম সংসদে ব্যয় হয় প্রায় ২৮৩ কোটি টাকা, পরের নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬৭ কোটি টাকা। আগের বারের চেয়ে তা ৬৮৪ কোটি টাকা বেশি। আর ব্যয় বৃদ্ধির হার প্রায় ২৫০ শতাংশ। গত ডামি নির্বাচনে ব্যয় দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে নির্ধারণ হয় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা, যার বেশিরভাগ অর্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় হয়।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আমার দেশকে বলেন, নির্বাচনি বাজেট বরাদ্দ যেটাই হোক, সেখানে বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় থাকতে হবে। আমি নিদের্শনা দিয়েছি, নির্বাচনে ব্যবহৃত একটি আলপিনও যদি লাগে, সেটির খরচও বাজেটে উল্লেখ থাকতে হবে। সোমবার থেকে আগামী বাজেটের সম্ভাব্য ব্যয় নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন বলে জানিয়েছিলেন কমিশনের সিনিয়র সচিব। ইতিমধ্যে খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।
ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৮০টি এবং ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৩৯টি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনে তা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে কমবেশি ৪৮ হাজার কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ ২ লাখ ৯৫ হাজার হতে পারে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন হিসাবে শুধু প্রিসাইডিং অফিসারের সংখ্যা হবে ৪৮ হাজার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার লাগবে প্রতিটি কক্ষে একজন হিসাবে প্রায় তিন লাখ এবং পোলিং অফিসার দুইজন ধরে ছয় লাখ। মোট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা লাগবে সাড়ে ৯ লাখ। এর বাইরে নির্বাচনি মালামাল কেনাকাটা, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচনের পর্যবেক্ষকদের পেছনে ব্যয় রয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষক ট্রেনারও লাগে। এসব খাতেও ব্যয় করতে হবে।
ব্যয় বাড়ছে
ইসির তথ্যমতে, নবম সংসদ নির্বাচনের পর পরিচালনায় ব্যয় বাড়া শুরু হয়। সেবার মোট ব্যয় হয়েছিল ১৬৫ কোটি টাকা আর দশম সংসদে নির্বাচনে মোট ব্যয় হয়েছিল ২৮৩ কোটি টাকা। এর পর একাদশ সংসদে ব্যয় আরো অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। ওই নির্বাচনে মোট ৯৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ব্যয় হয় এক হাজার ৯২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা গত নির্বাচনের ব্যয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। তবে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ বেশি বাড়ায় এবার ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে দুই হাজার ৮৮২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ। ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশসাপেক্ষে এ সংখ্যা আরো বাড়বে। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ ভোটার ছিল তিন কোটি ৫২ লাখ পাঁচ হাজার ৬৪২ জন। সেই নির্বাচনে ব্যয় ছিল ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
এমবি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে আসনপ্রতি ব্যয় হবে গড়ে ১০ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের মধ্যে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার মতো খরচ হবে কেনাকাটাসহ নির্বাচন পরিচালনায়। আর নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের জন্য ১৫০ কোটির মতো ব্যয় হবে।
সংসদ নির্বাচনের জন্য এ সম্ভাব্য ব্যয় ধরে আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেট প্রস্তুত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর বাইরে ইউনিয়ন পরিষদসহ (ইউপি) স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৭০০ কোটির বেশি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অবশ্য কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটা তাদের খসড়া হিসাব। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বাজেট কমবেশি হতে পারে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যে সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, তাতে চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের (২০২৬) প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে। এক্ষেত্রে আগামী জুনে নতুন অর্থবছরের যে বাজেট আসছে, সেখানেই সংসদ নির্বাচনের বরাদ্দ থাকার কথা। অবশ্য সরকার চাইলে বাজেটে পুরো বরাদ্দ না দিয়ে নির্বাচনের সময় জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের সুযোগ থাকে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য মোট সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় আট হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সংসদ নির্বাচনের জন্য দুই হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা। চারটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিটি করপোরেশনের জন্য ৩৬৭ কোটি, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই হাজার ১০৫ কোটি, পৌরসভা নির্বাচনের জন্য ৩১৩ কোটি এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ২৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনের ব্যয় পর্যালোচনা করে দেখা গেছে প্রতি বছরই এ ব্যয় বাড়ছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয় এক হাজার ৯২৭ কোটি টাকা। এবার তা বেড়ে প্রায় দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব হচ্ছে। এটাও সম্ভাব্য ব্যয় বলে ধারণা দিয়েছে নির্বাচনের বাজেট শাখা। সে হিসাবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে এক হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হতে পারে।
এবার ব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ইসির সংশ্লিষ্টরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিভিন্ন দেশে যুদ্ধবিগ্রহ চলমান থাকা, অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতি, জ্বালানি তেলের দামের হেরফের বা ওঠানামা করা, ডলারের উচ্চমূল্য, মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয়হীনতা ও নির্বাচনে ভোটের কেন্দ্র ও কমবেশি হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তারা জানান, একটি ভোটকেন্দ্র বাড়লে তার পেছনে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। প্রায় ছয় হাজার বেশি ভোটকেন্দ্র বাড়ায় স্বাভাবিকভাবে ব্যয় বাড়ানো ছাড়া নির্বাচন কমিশনের সামনে কোনো বিকল্প নেই।
বাজেট বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আমার দেশকে বলেন, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাজের ক্ষেত্র কম ছিল, এবার বেড়েছে। উদাহরণ হিসেবে ইসির এ কর্মকর্তা বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের সংখ্যা বেড়েছে। সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাস ও বর্তমান বাজার পরিস্থিতিসহ সামগ্রিক বিবেচনায় ব্যয় বেড়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
ইসির তথ্যউপাত্ত বলছে, দশম সংসদে ব্যয় হয় প্রায় ২৮৩ কোটি টাকা, পরের নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬৭ কোটি টাকা। আগের বারের চেয়ে তা ৬৮৪ কোটি টাকা বেশি। আর ব্যয় বৃদ্ধির হার প্রায় ২৫০ শতাংশ। গত ডামি নির্বাচনে ব্যয় দ্বিগুণের বেশি বাড়িয়ে নির্ধারণ হয় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা, যার বেশিরভাগ অর্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় হয়।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আমার দেশকে বলেন, নির্বাচনি বাজেট বরাদ্দ যেটাই হোক, সেখানে বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় থাকতে হবে। আমি নিদের্শনা দিয়েছি, নির্বাচনে ব্যবহৃত একটি আলপিনও যদি লাগে, সেটির খরচও বাজেটে উল্লেখ থাকতে হবে। সোমবার থেকে আগামী বাজেটের সম্ভাব্য ব্যয় নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন বলে জানিয়েছিলেন কমিশনের সিনিয়র সচিব। ইতিমধ্যে খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।
ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৮০টি এবং ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৩৯টি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনে তা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে কমবেশি ৪৮ হাজার কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ ২ লাখ ৯৫ হাজার হতে পারে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন হিসাবে শুধু প্রিসাইডিং অফিসারের সংখ্যা হবে ৪৮ হাজার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার লাগবে প্রতিটি কক্ষে একজন হিসাবে প্রায় তিন লাখ এবং পোলিং অফিসার দুইজন ধরে ছয় লাখ। মোট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা লাগবে সাড়ে ৯ লাখ। এর বাইরে নির্বাচনি মালামাল কেনাকাটা, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচনের পর্যবেক্ষকদের পেছনে ব্যয় রয়েছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষক ট্রেনারও লাগে। এসব খাতেও ব্যয় করতে হবে।
ব্যয় বাড়ছে
ইসির তথ্যমতে, নবম সংসদ নির্বাচনের পর পরিচালনায় ব্যয় বাড়া শুরু হয়। সেবার মোট ব্যয় হয়েছিল ১৬৫ কোটি টাকা আর দশম সংসদে নির্বাচনে মোট ব্যয় হয়েছিল ২৮৩ কোটি টাকা। এর পর একাদশ সংসদে ব্যয় আরো অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। ওই নির্বাচনে মোট ৯৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ব্যয় হয় এক হাজার ৯২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা গত নির্বাচনের ব্যয়ের দ্বিগুণেরও বেশি। তবে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ বেশি বাড়ায় এবার ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে দুই হাজার ৮৮২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ। ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশসাপেক্ষে এ সংখ্যা আরো বাড়বে। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ ভোটার ছিল তিন কোটি ৫২ লাখ পাঁচ হাজার ৬৪২ জন। সেই নির্বাচনে ব্যয় ছিল ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
এমবি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে বিভিন্ন মেরূকরণ। এ নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে, কোন দল কার সঙ্গে সমঝোতা বা জোট করে ভোট করবেÑএসব বিষয় নিয়ে আলোচনা ও তৎপরতাও জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনীলের দেশখ্যাত নীলফামারী দীর্ঘদিন শোষণ করেছিল ইংরেজরা। তাদের স্থানীয় নিপীড়ক নীলকরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিলেন উত্তরের এই জেলার চাষিরা। ২০০ বছর পর সেই নিষ্ঠুর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেন আওয়ামী ‘কসাই’খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর।
১০ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদেরই (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন ডিসিসহ ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে।
১ দিন আগেবছরের প্রায় ১০ মাস পার হলেও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ শুরু হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়ের কনটেন্টও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়নি; এখনো চলছে পরিবর্তন-পরিমার্জনের কাজ। এছাড়া ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনও মেলেনি এখনো।
১ দিন আগে