ময়মনসিংহে ‘আওয়ামী দুর্বৃত্তদের’ আগুন

আব্দুল কাইয়ুম, ময়মনসিংহ

‘আমার পুতেরে (ছেলেরে) কেন পুড়াইয়া মারল, কী দোষ ছিল তার? আমার পুতেরে তোমরা আইন্যা দেও?’ এমন বুকফাটা আর্তচিৎকারে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া বাসচালক জুলহাস মিয়ার মা সাজেদা বেগম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলেকে হারিয়ে আর্তনাদ করে তিনি বলেন, জুলহাস তাকে মানুষের বাড়িতে আর কাজ করতে নিষেধ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার গ্রামের বাড়ি কৈয়ারচালায় গেলে শোকের মাতম করতে দেখা যায় তাকে। তার বিলাপে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় আলম এশিয়া পরিবহনের একটি বাসে দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা গেছেন চালক জুলহাস মিয়া (৩৫)। গত সোমবার গভীর রাতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের ছোড়া আগুনে কেড়ে নিল তার প্রাণ।
জানা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন জুলহাস। মায়ের কষ্ট লাঘবের জন্য মানুষের বাড়িতে কাজ করতে নিষেধ করেছিলেন। ঋণের টাকায় বাড়িতে তুলেছিলেন একটি ঘর । স্বপ্ন ছিল একটু শান্তিতে সংসার চালানোর। কিন্তু সেই ঘর এখন নিঃস্ব। ছেলে নেই, হাসি নেই, আছে শুধু কান্না।
চোখের পানি মুছতে মুছতে সাজেদা বেগম বলেন, তিন লাখ টেহার (টাকার) ঋণ ছিল ওর। সাতদিন পরপর দশ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হইতো। আমি মাইনষের (মানুষের) বাড়িতে কাম (কাজ) করতাম। জুলহাস কইতো (বলতো) মা, তুমি আর মাইনষের বাড়িতে কামে যাইও না, আমিই কষ্ট করে সংসার চালামু।
একটু থেমে আবার কেঁদে ওঠেন তিনি, গাড়িটারে নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসত। এক সপ্তাহ পর সুযোগ পাইলে সকালে বাড়ি আইতো (আসতো), দুপুরে আবার চইল্যা (চলে) যাইতো। ফজরের নামাজের সময় শুনলাম, আমার পুত আগুনে পুইড়া ছাই হইয়া গেছে… আল্লাহ, আমি এখন কারে বাবা কইয়াম (বলব)?
জুলহাসের স্ত্রী জাকিয়া আক্তার। এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। কিছুদিন ধরে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসেন শ্বশুরবাড়িতে। ভারী কণ্ঠে তিনি বলেন, এক বছর হইলো আমরা সংসার শুরু করছি। এখন আমি কারে নিয়া বাঁচুম?
কৈয়ারচালার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আগুন সন্ত্রাসীরা যা করছে, তাতে গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। জুলহাসের মৃত্যু যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই ফল, তা সবারই জানা।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আলম এশিয়া পরিবহনের বাসটি গত সোমবার রাত পৌনে তিনটার দিকে ফুলবাড়িয়ায় পৌঁছে। তেল নেওয়ার জন্য একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে থামানো হয়। যাত্রীরা সবাই নেমে গেলেও চালক জুলহাস মিয়া বাসের ভেতরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখনই তিনজন দুর্বৃত্ত এসে হঠাৎ বাসে আগুন ধরিয়ে পালায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে, বের হওয়ার সুযোগ পাননি তিনি।
ওসি আরো জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ বলে মনে হচ্ছে। দায়ীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম জানান, ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। অগ্নিসংযোগে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

‘আমার পুতেরে (ছেলেরে) কেন পুড়াইয়া মারল, কী দোষ ছিল তার? আমার পুতেরে তোমরা আইন্যা দেও?’ এমন বুকফাটা আর্তচিৎকারে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া বাসচালক জুলহাস মিয়ার মা সাজেদা বেগম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলেকে হারিয়ে আর্তনাদ করে তিনি বলেন, জুলহাস তাকে মানুষের বাড়িতে আর কাজ করতে নিষেধ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার গ্রামের বাড়ি কৈয়ারচালায় গেলে শোকের মাতম করতে দেখা যায় তাকে। তার বিলাপে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় আলম এশিয়া পরিবহনের একটি বাসে দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা গেছেন চালক জুলহাস মিয়া (৩৫)। গত সোমবার গভীর রাতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের ছোড়া আগুনে কেড়ে নিল তার প্রাণ।
জানা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন জুলহাস। মায়ের কষ্ট লাঘবের জন্য মানুষের বাড়িতে কাজ করতে নিষেধ করেছিলেন। ঋণের টাকায় বাড়িতে তুলেছিলেন একটি ঘর । স্বপ্ন ছিল একটু শান্তিতে সংসার চালানোর। কিন্তু সেই ঘর এখন নিঃস্ব। ছেলে নেই, হাসি নেই, আছে শুধু কান্না।
চোখের পানি মুছতে মুছতে সাজেদা বেগম বলেন, তিন লাখ টেহার (টাকার) ঋণ ছিল ওর। সাতদিন পরপর দশ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হইতো। আমি মাইনষের (মানুষের) বাড়িতে কাম (কাজ) করতাম। জুলহাস কইতো (বলতো) মা, তুমি আর মাইনষের বাড়িতে কামে যাইও না, আমিই কষ্ট করে সংসার চালামু।
একটু থেমে আবার কেঁদে ওঠেন তিনি, গাড়িটারে নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসত। এক সপ্তাহ পর সুযোগ পাইলে সকালে বাড়ি আইতো (আসতো), দুপুরে আবার চইল্যা (চলে) যাইতো। ফজরের নামাজের সময় শুনলাম, আমার পুত আগুনে পুইড়া ছাই হইয়া গেছে… আল্লাহ, আমি এখন কারে বাবা কইয়াম (বলব)?
জুলহাসের স্ত্রী জাকিয়া আক্তার। এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন। কিছুদিন ধরে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসেন শ্বশুরবাড়িতে। ভারী কণ্ঠে তিনি বলেন, এক বছর হইলো আমরা সংসার শুরু করছি। এখন আমি কারে নিয়া বাঁচুম?
কৈয়ারচালার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, আগুন সন্ত্রাসীরা যা করছে, তাতে গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। জুলহাসের মৃত্যু যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই ফল, তা সবারই জানা।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকনুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আলম এশিয়া পরিবহনের বাসটি গত সোমবার রাত পৌনে তিনটার দিকে ফুলবাড়িয়ায় পৌঁছে। তেল নেওয়ার জন্য একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে থামানো হয়। যাত্রীরা সবাই নেমে গেলেও চালক জুলহাস মিয়া বাসের ভেতরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখনই তিনজন দুর্বৃত্ত এসে হঠাৎ বাসে আগুন ধরিয়ে পালায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে, বের হওয়ার সুযোগ পাননি তিনি।
ওসি আরো জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ বলে মনে হচ্ছে। দায়ীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম জানান, ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। অগ্নিসংযোগে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

গণভোট ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বসহ (পিআর) নানা ইস্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। এর মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একদিনে হয় তাহলে ভোট গ্রহণের সময় আটঘণ্টার জায়গায় ১০ ঘণ্টা করা হতে পারে। ইসি ও সংস্কার কমিশনের নির্ভর
৪ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ড এখন নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে প্রবাসী সন্ত্রাসীদের হাতে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব মাফিয়া গোষ্ঠী নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত আটটি গ্রুপ ইতোমধ্যে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, বালুমহাল দখল
৫ ঘণ্টা আগে
চব্বিশের কোটাবিরোধী আন্দোলন যখন জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে তীব্র হয়ে ওঠে, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতিরিক্ত বল প্রয়োগ শুরু করে। এ সময় আন্দোলনকারীদের দমনে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এতে নিহত হন অসংখ্য মানুষ। সে সময় হাসিনা সরকারের আপ্রাণ চেষ্টা ছিল নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা লুকানো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে সামগ্রিক অর্থনীতির ধীরগতির মধ্যে কিছুটা আশাব্যঞ্জক ছিল রপ্তানি প্রবৃদ্ধি। কিন্তু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এসে ভাটা পড়েছে রপ্তানি আয়ে। চলতি অর্থবছরের আগস্ট থেকে টানা তিন মাস রপ্তানি আয় কমেছে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানায়, সামগ্রিক আয় কমার
৫ ঘণ্টা আগে