
সৈয়দ আবদাল আহমদ

‘আজ রাতেই কারফিউ দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শেষ করে দিন।’ জুলাই ছাত্র গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাইয়ের আগে-পরে কোনো এক সময়ে শেখ হাসিনার এমন নির্দেশ ছিল। তিনি এই নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে।
কামাল বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে অবহিত করেন। সেই গণহত্যার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেছে। এ সম্পর্কে সেই সময়কার সালমান ও আনিসুল হকের মধ্যে টেলিফোন কথোপকথনের একটি অডিও আমার দেশ-এর কাছে এসেছে।
টেলিফোন কথোপকথনে আনিসুল হক সালমান রহমানকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, ‘আজ রাতেই কারফিউ দিয়ে ওদের শেষ করে দিন।’ সালমানও আনিসুলকে জানান, আসাদুজ্জামান খান কামাল তাকেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে শেখ হাসিনার মার্শাল ল জারির পরিকল্পনা, তার সহকারী সামরিক সচিব কর্নেল রাজীবকে কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনীকে দিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যার নির্দেশ, সালমানের টাকায় আওয়ামী ক্যাডার দিয়ে জুলাই বিক্ষোভকারীদের গুলিতে হত্যা, বিক্ষোভকারীদের গণগ্রেপ্তার করতে শেখ হাসিনাকে ১৪ দলীয় জোট নেতা হাসানুল হক ইনুর ফোন, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের ও ডিবিপ্রধান হারুনের ফোনালাপসহ বেশ কয়েকটি অডিও ফাঁস হয়। উল্লেখ্য, জুলাই ছাত্র গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গণহত্যায় জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্টেই ১৪০০ নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
কারফিউ দিয়ে গণহত্যা চালানো বিষয়ক সালমান-আনিসুলের ফোনালাপের পূর্ণ বিবরণ নিম্নরূপ :
আনিসুল : হ্যালো, হ্যাঁ বলেন।
সালমান : আপনি ফোন করছিলেন?
আনিসুল : হ্যাঁ, আমি ফোন করেছিলাম।
সালমান : হ্যাঁ।
আনিসুল : এখন কথা হচ্ছে যে, টু স্কুল অব থটস (দুটি বিকল্প চিন্তা)
সালমান : হু-উ-ম।
আনিসুল : একটা হচ্ছে যে, আজকে রাত্রেই কারফিউ দিয়ে এদের (আন্দোলনরত ছাত্রদের) শেষ করে দেওয়া।
সালমান : হু-উ-ম, বলেন।
আনিসুল : আরেকটা হচ্ছে যে, শুনতে পান?
সালমান : একটু হোল্ড করেন। তারপর?
আনিসুল : কে হোল্ড করবে আমি?
সালমান : না, আনিস আপনি বলেন।
আনিসুল : ব্যাপারটা হচ্ছে- আমার মনে হয় এগুলো টেলিফোনে আর বলা উচিত না। আরেক হচ্ছে- ‘গো ফর দ্য রিয়েল হার্ডলাইন।’
আনিসুল : এখন কথা হচ্ছে… ৯ দফা।
সালমান : ৯ দফা... দ্যাট উইল শুড বি।
আনিসুল : দেন মাই কলিগ মি. কামাল (তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল) সেইড দ্যাট ‘নর্থ সাইড’ (উত্তরপাড়া, সেনানিবাস অর্থাৎ আর্মি) হ্যাজ টু গেট ইনভলভ। কিছুক্ষণ থেমে- বুঝতে পারছেন?
সালমান : দ্যাট হি (আসাদুজ্জামান খান কামাল) টোল্ড মি অলসো।
আনিসুল : সো ইউ নো।
সালমান : আর ইউ আর কামিং?
আনিসুল : ইফ আই হ্যাভ টু কাম, আই উইল কাম। ডু ইউ থিংকস আই নিড টু কাম? আই উইল কাম। আই অ্যাম রেডি।
সালমান : নট রিয়েলি বিকজ শি (শেখ হাসিনা) ইজ টংকিং অন দ্য ফোন উইথ এভরিবডি।
আনিসুল : লেট মি স্টে অ্যাট হোম। মাই মবিলিটি, হ্যাভ টু এনশিয়র। অ্যান্ড দেন অ্যাবসুলেটটি নেসাসারি আই কাম। ওকে?
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমনে ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনার সরকার ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি এবং সেনা মোতায়েন করেছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত এই কারফিউ বহাল ছিল। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সেনাপ্রধান দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি পরিবেশ শান্ত হয়ে যায় কারফিউ আর প্রয়োজন নেই। পরবর্তী সময়ে কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়।

‘আজ রাতেই কারফিউ দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শেষ করে দিন।’ জুলাই ছাত্র গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাইয়ের আগে-পরে কোনো এক সময়ে শেখ হাসিনার এমন নির্দেশ ছিল। তিনি এই নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে।
কামাল বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে অবহিত করেন। সেই গণহত্যার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেছে। এ সম্পর্কে সেই সময়কার সালমান ও আনিসুল হকের মধ্যে টেলিফোন কথোপকথনের একটি অডিও আমার দেশ-এর কাছে এসেছে।
টেলিফোন কথোপকথনে আনিসুল হক সালমান রহমানকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলছেন, ‘আজ রাতেই কারফিউ দিয়ে ওদের শেষ করে দিন।’ সালমানও আনিসুলকে জানান, আসাদুজ্জামান খান কামাল তাকেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে শেখ হাসিনার মার্শাল ল জারির পরিকল্পনা, তার সহকারী সামরিক সচিব কর্নেল রাজীবকে কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনীকে দিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যার নির্দেশ, সালমানের টাকায় আওয়ামী ক্যাডার দিয়ে জুলাই বিক্ষোভকারীদের গুলিতে হত্যা, বিক্ষোভকারীদের গণগ্রেপ্তার করতে শেখ হাসিনাকে ১৪ দলীয় জোট নেতা হাসানুল হক ইনুর ফোন, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের ও ডিবিপ্রধান হারুনের ফোনালাপসহ বেশ কয়েকটি অডিও ফাঁস হয়। উল্লেখ্য, জুলাই ছাত্র গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গণহত্যায় জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্টেই ১৪০০ নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
কারফিউ দিয়ে গণহত্যা চালানো বিষয়ক সালমান-আনিসুলের ফোনালাপের পূর্ণ বিবরণ নিম্নরূপ :
আনিসুল : হ্যালো, হ্যাঁ বলেন।
সালমান : আপনি ফোন করছিলেন?
আনিসুল : হ্যাঁ, আমি ফোন করেছিলাম।
সালমান : হ্যাঁ।
আনিসুল : এখন কথা হচ্ছে যে, টু স্কুল অব থটস (দুটি বিকল্প চিন্তা)
সালমান : হু-উ-ম।
আনিসুল : একটা হচ্ছে যে, আজকে রাত্রেই কারফিউ দিয়ে এদের (আন্দোলনরত ছাত্রদের) শেষ করে দেওয়া।
সালমান : হু-উ-ম, বলেন।
আনিসুল : আরেকটা হচ্ছে যে, শুনতে পান?
সালমান : একটু হোল্ড করেন। তারপর?
আনিসুল : কে হোল্ড করবে আমি?
সালমান : না, আনিস আপনি বলেন।
আনিসুল : ব্যাপারটা হচ্ছে- আমার মনে হয় এগুলো টেলিফোনে আর বলা উচিত না। আরেক হচ্ছে- ‘গো ফর দ্য রিয়েল হার্ডলাইন।’
আনিসুল : এখন কথা হচ্ছে… ৯ দফা।
সালমান : ৯ দফা... দ্যাট উইল শুড বি।
আনিসুল : দেন মাই কলিগ মি. কামাল (তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল) সেইড দ্যাট ‘নর্থ সাইড’ (উত্তরপাড়া, সেনানিবাস অর্থাৎ আর্মি) হ্যাজ টু গেট ইনভলভ। কিছুক্ষণ থেমে- বুঝতে পারছেন?
সালমান : দ্যাট হি (আসাদুজ্জামান খান কামাল) টোল্ড মি অলসো।
আনিসুল : সো ইউ নো।
সালমান : আর ইউ আর কামিং?
আনিসুল : ইফ আই হ্যাভ টু কাম, আই উইল কাম। ডু ইউ থিংকস আই নিড টু কাম? আই উইল কাম। আই অ্যাম রেডি।
সালমান : নট রিয়েলি বিকজ শি (শেখ হাসিনা) ইজ টংকিং অন দ্য ফোন উইথ এভরিবডি।
আনিসুল : লেট মি স্টে অ্যাট হোম। মাই মবিলিটি, হ্যাভ টু এনশিয়র। অ্যান্ড দেন অ্যাবসুলেটটি নেসাসারি আই কাম। ওকে?
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমনে ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনার সরকার ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি এবং সেনা মোতায়েন করেছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত এই কারফিউ বহাল ছিল। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সেনাপ্রধান দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি পরিবেশ শান্ত হয়ে যায় কারফিউ আর প্রয়োজন নেই। পরবর্তী সময়ে কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়।

চাকরির জন্য নিজ এলাকার বাইরে থাকা ভোটারদের বড় একটি অংশ আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। ইসির ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের সীমাবদ্ধতার কারণে তারা এ সুযোগ বঞ্চিত হবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর গুলশান ২-এর ৭৫ নম্বর সড়ক, যা এক সময় পরিচ্ছন্ন ও শান্ত অভিজাত সড়ক হিসেবে পরিচিত ছিল, এখন তা রূপ নিয়েছে অবৈধ ব্যবসা ও পার্কিংয়ের স্বর্গরাজ্যে। প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে চলছে দোকান, চায়ের স্টল, ভাতের হোটেলÑএমনকি গ্যারেজও।
২ দিন আগে
চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যুৎ বিভাগে লিফট কেনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট সম্প্রতি অন্তত ছয়টি প্রকল্পে নিম্নমানের লিফট সরবরাহ করে এই চক্র কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রকল্পের টেন্ডারে ‘এ’ গ্রেড লিফট সরবরাহ করার কথা উল্লেখ ছিল।
২ দিন আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সম্প্রতি জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। সুপারিশে কমিশন জাতীয় নির্বাচনের আগে অথবা একই দিনে গণভোট করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা সরকারকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা বলেছে।
২ দিন আগে