সীতাকুণ্ড পৌরসভায় ক্ষমতার দ্বন্দ্বে স্থবির প্রশাসন

জহিরুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভায় দুই শীর্ষ কর্মকর্তার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও প্রশাসনিক টানাপোড়েনে স্থবির হয়ে পড়েছে পৌর কার্যক্রম। একদিকে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (পিএনও/সচিব) নজরুল ইসলাম, অন্যদিকে পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী নূরননবী। এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তার মধ্যে কে প্রধান তা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। তাদের এই দ্বন্দ্বে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী।
পৌরবাসীদের অভিযোগ, নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম পৌর ভবনের দোতলায় দীর্ঘ ১২ বছর যাবত বসবাস করে করছেন। ওই বাসার ফ্যান, লাইট ও এসির বিদ্যুতের বিলও দিচ্ছে পৌরসভা। অর্থাৎ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার বিদ্যুৎ বিলও পৌরবাসীর টাকায় চলছে।
এই বিষয়ে পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা আমার দেশকে বলেন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারিবিধি ভঙ্গ করে পৌরসভার ভবনের ভেতরেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তবে নজরুল ইসলাম এই প্রসঙ্গে আমার দেশকে বলেন, আমি বাহিরে বাসা না নিয়ে পৌরসভায় এক কক্ষেই থাকি। সত্যি বলতে আমি দীর্ঘ বছর যাবত পৌরসভাটাকে পাহারা দিয়ে আসছি। ফ্যান, লাইট ও এসির বিল পৌরসভা থেকে দেওয়া হয় এটি সত্য।
পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী নূরননবী আমার দেশকে বলেন, নজরুল ইসলাম আমার পিছনে কেন লেগে আছেন জানি না। তিনি সপ্তম গ্রেডের কর্মকর্তা আর আমি ষষ্ঠ গ্রেডের। ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের সব কর্মকাণ্ডের জন্য আমি সরাসরি পৌর প্রশাসকের কাছে জবাবদিহি করি।
অন্যদিকে নজরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকৌশলী নূরননবী চার মাসেও ভাঙা ডাস্টবিন মেরামতের কাজ বাস্তবায়ন করেননি। যার ফলে মানুষেরা ভাঙা ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলতে গিয়ে সড়কের ওপর ফেলছে।
সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলম আজাদ আমার দেশকে বলেন, এই দুই কর্মকর্তার ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পৌরসভায় প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। জনপ্রতিনিধি না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পৌরসভার অভ্যন্তরে দারোয়ান ব্যতীত প্রশাসনিক কর্মকর্তা থাকার কোনো নিয়ম নেই। অথচ বিগত ২০১৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিশাল একটি রুমে বাসা বাড়ির মত বসবাস করে আসছেন। দীর্ঘ একযোগে প্রায় চার পাঁচ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল পৌরবাসীকে বহন করতে হয়েছে।
পৌরসভার হিসাব কর্মকর্তা ফয়েজ আহমদ আমার দেশকে বলেন, তিনটি বিভাগে (প্রশাসনিক, উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) মোট ১৩০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর পদ অনুমোদিত থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ২৬ জন।
এ ছাড়া পৌরসভার আয়তন অনুযায়ী ৮৪ জন ঝাড়ুদার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৩০ জন। ডাক্তার, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক প্রকৌশলীর পদ শূন্য রয়েছে।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, সহকারী প্রকৌশলী আবু ইউসুফ ও হিসাব কর্মকর্তা ফয়েজ আহমদের হয়রানির কারণে অনেক ঠিকাদার পৌরসভা ছেড়ে চলে গেছেন। কাজ শেষ করেও ছয় মাস পর্যন্ত চেক পান না ঠিকাদারেরা।
সীতাকুণ্ড পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা পৌর ভবনে বাস করছেন এবং পৌরসভার বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এটা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কার্যক্রম সচল রাখতে কাজ চলমান রয়েছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভায় দুই শীর্ষ কর্মকর্তার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও প্রশাসনিক টানাপোড়েনে স্থবির হয়ে পড়েছে পৌর কার্যক্রম। একদিকে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (পিএনও/সচিব) নজরুল ইসলাম, অন্যদিকে পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী নূরননবী। এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তার মধ্যে কে প্রধান তা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। তাদের এই দ্বন্দ্বে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী।
পৌরবাসীদের অভিযোগ, নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম পৌর ভবনের দোতলায় দীর্ঘ ১২ বছর যাবত বসবাস করে করছেন। ওই বাসার ফ্যান, লাইট ও এসির বিদ্যুতের বিলও দিচ্ছে পৌরসভা। অর্থাৎ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার বিদ্যুৎ বিলও পৌরবাসীর টাকায় চলছে।
এই বিষয়ে পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা আমার দেশকে বলেন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারিবিধি ভঙ্গ করে পৌরসভার ভবনের ভেতরেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তবে নজরুল ইসলাম এই প্রসঙ্গে আমার দেশকে বলেন, আমি বাহিরে বাসা না নিয়ে পৌরসভায় এক কক্ষেই থাকি। সত্যি বলতে আমি দীর্ঘ বছর যাবত পৌরসভাটাকে পাহারা দিয়ে আসছি। ফ্যান, লাইট ও এসির বিল পৌরসভা থেকে দেওয়া হয় এটি সত্য।
পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী নূরননবী আমার দেশকে বলেন, নজরুল ইসলাম আমার পিছনে কেন লেগে আছেন জানি না। তিনি সপ্তম গ্রেডের কর্মকর্তা আর আমি ষষ্ঠ গ্রেডের। ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের সব কর্মকাণ্ডের জন্য আমি সরাসরি পৌর প্রশাসকের কাছে জবাবদিহি করি।
অন্যদিকে নজরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকৌশলী নূরননবী চার মাসেও ভাঙা ডাস্টবিন মেরামতের কাজ বাস্তবায়ন করেননি। যার ফলে মানুষেরা ভাঙা ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলতে গিয়ে সড়কের ওপর ফেলছে।
সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলম আজাদ আমার দেশকে বলেন, এই দুই কর্মকর্তার ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পৌরসভায় প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। জনপ্রতিনিধি না থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পৌরসভার অভ্যন্তরে দারোয়ান ব্যতীত প্রশাসনিক কর্মকর্তা থাকার কোনো নিয়ম নেই। অথচ বিগত ২০১৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিশাল একটি রুমে বাসা বাড়ির মত বসবাস করে আসছেন। দীর্ঘ একযোগে প্রায় চার পাঁচ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল পৌরবাসীকে বহন করতে হয়েছে।
পৌরসভার হিসাব কর্মকর্তা ফয়েজ আহমদ আমার দেশকে বলেন, তিনটি বিভাগে (প্রশাসনিক, উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য) মোট ১৩০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর পদ অনুমোদিত থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ২৬ জন।
এ ছাড়া পৌরসভার আয়তন অনুযায়ী ৮৪ জন ঝাড়ুদার থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৩০ জন। ডাক্তার, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক প্রকৌশলীর পদ শূন্য রয়েছে।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, সহকারী প্রকৌশলী আবু ইউসুফ ও হিসাব কর্মকর্তা ফয়েজ আহমদের হয়রানির কারণে অনেক ঠিকাদার পৌরসভা ছেড়ে চলে গেছেন। কাজ শেষ করেও ছয় মাস পর্যন্ত চেক পান না ঠিকাদারেরা।
সীতাকুণ্ড পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা পৌর ভবনে বাস করছেন এবং পৌরসভার বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এটা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কার্যক্রম সচল রাখতে কাজ চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখী ব্যানার্জী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে আসাসহ দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
১৭ মিনিট আগে
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন আমার দেশকে বলেন, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে নালা–নর্দমা পরিষ্কার ও পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে হবে।
২৩ মিনিট আগে
শুধু সরকারি সেবা নয়, দুই বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে ডিজিটাল পোস্ট অফিস কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারও। ২০২৩ সালে ডাকঘরের উদ্যোক্তার মাধ্যমে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী তিনমাস মেয়াদে অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ছয় মাস মেয়াদের ডিপ্লোমা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হয়েও তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়নি আদৌ।
২৬ মিনিট আগে
চলতি বছর যশোরের কেশবপুর উপজেলায় চিংড়ি ও সাদা মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। এ বছর কেশবপুরে চার হাজার ৬৫৮ মৎস্যঘেরে মাছ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টন। যার বাজার মূল্য ৫৭৫ কোটি টাকা।
৩১ মিনিট আগে