মুখ থুবড়ে পড়েছে সীতাকুণ্ড পৌরসভার নাগরিকসেবা

জহিরুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫২

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডতে মুখ থুবড়ে পড়েছে পৌরসভার জনসেবামূলক কাজ। নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে ময়লা আবর্নায় ভরপুর হয়ে জনস্বাস্থ্যে হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে । এতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগবালাই ছড়িয়ে পড়েছে । প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই নাজুক পরিস্থিতির মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধন কার্যক্রমে চরম অব্যবস্থাপনাসহ নাগরিক সেবার স্থবিরতা। বাজারে ডাস্টবিন না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিনের ময়লার স্তূপ থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ও নানা রকম জীবাণু ছড়াচ্ছে, যা পথচারী ও যাত্রীদের জন্য অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নাগরিকরা তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকের মতো জীবনযাপন করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে দীর্ঘ বছর যাবৎ পৌরসভা এলাকায় উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। ভাঙা রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু না করায় নাগরিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোনো নোটিস বা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের নুনাছড়া, বটতলা, পন্থিছিলা, শেখপাড়া চৌধুরীপাড়া, নলুয়াপাড়া, দাসপাড়া ও শেখনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার বাতি না থাকায় সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকার নেমে আসে। এই অন্ধকারে মাদকাসক্ত ও অপরাধীদের আনাগোনা বেড়ে যায় । এতে পৌরসভার নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৌরসভার সচিব নজরুল ইসলামের প্রশাসনিক গাফিলতিতে পৌর বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। পৌরসভার পিছনে কোটি কোটি টাকার সরকারি গাড়ি অযত্নে অবহেলায় খোলা আকাশ নিচে পড়ে রয়েছে।

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিনের আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। এই ময়লার স্তূপই এখন এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র।

স্থানীয় ঠিকাদার নাসির উদ্দিন আমার দেশকে বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা ভাঙা, সড়কের ওপর ময়লা আবর্জনা ও রাতের বেলায় অধিকাংশ জায়গায় সড়ক বাতি না থাকায় ওইসব এলাকায় মাদকসেবীসহ অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গেছে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন আমার দেশকে বলেন, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে নালা–নর্দমা পরিষ্কার ও পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে হবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত