ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, হাসিনার ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে ভারত।
শুক্রবার বিকালে দিরাইয়ে যুব ও গণসমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ৫৪ বছরে এই এলাকার নেতারা নির্বাচনের আগে মানুষকে আশ্বাস দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের পাওয়া যায়নি। এখানকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কেউ এগিয়ে আসেনি। ভাগ্য উন্নয়ন ঘটাতে হলে এবার দাঁড়িপাল্লায় অ্যাডভোকেট শিশির মনিরকে ভোট দিতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগেই সুনামগঞ্জ-২ আসনে তিনি (শিশির মনির) অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। নির্বাচিত হলে আরো বেশি কাজ করতে পারবেন।
দিরাই-শাল্লায় দাঁড়িপাল্লার কান্ডারি সারা দেশের নেতা জানিয়ে সাদিক কায়েম বলেন, তিনি ইতোমধ্যে রাস্তাঘাট নির্মাণ, ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন, ফ্রি চক্ষু চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজ করেছেন। তিনি বলেন, শিশির মনির একদিনে তৈরি হয়নি।
তিনি বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ছাত্ররাজনীতি করেছেন। এ দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়িয়ে তাদের পক্ষে কথা বলেছেন এবং গত জুলাই আন্দোলনে নীতিনির্ধারক হিসেবে মাঠপর্যায়ের সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
সাদিক কায়েম বলেন, শিশির মনির নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দিরাই ও শাল্লাকে বাংলাদেশে মডেল হিসেবে তুলে ধরবেন।
দিরাই উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দিরাই-শাল্লা সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সাধারণ মোহাম্মদ শিশির মনির। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম দিরাই-শাল্লার যোগাযোগ উন্নয়নে কাজ করবেন তিনি। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ সড়ক স্থাপন, ৪৫ হাজার বেকারত্বদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করার অঙ্গীকার করেন শিশির মনির।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা ও মো. শাহীনুর রহমান। এছাড়া দিরাই ও শাল্লা জামায়াতে ইসলামের বিভিন্ন স্তরের নেতারাসহ সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

