নারীতে ডুবলেন শরীয়তপুরের ডিসি

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ২২: ২২
আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, ২৩: ৫৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবি

এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ওএসডি হয়েছেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন। শুক্রবার থেকেই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা চলছিল। এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার রাতে ডিসিকে ওএসডি করার খবর আসে। মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কোন নারীর কারণে ওএসডি হলেন ডিসি।

বিজ্ঞাপন

অবশ্য ওই নারী নিজেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি হলেন, টাঙ্গাইল সদরের বাসিন্দা সেলিনা ইসলাম লিজা (৩৬)। তিনি ঢাকা মিরপুরের মাজহারুল ইসলাম সংগ্রামের স্ত্রী ছিলেন। পারিবারিকভাবে বিয়ে হওয়া এই দম্পতির ঘরে রয়েছে দুই সন্তান। জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ উদ্দিন হীরা, লিজার স্বামীর বড় বোনের জামাই। পারিবারিক আত্মীয়তার সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়।

সেলিনা ইসলাম লিজা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করে বলেন, ‘পারিবারিক সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পবিত্র কোরআন শরিফে হাত রেখে আমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তার কথা বিশ্বাস করে আমি আমার স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সে যেতে বাধ্য হই।’

তিনি আরো বলেন, ‘পরে তিনি (আশরাফ উদ্দিন) তার স্ত্রীর সঙ্গে আর্থিক বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। তখন আমাদের সম্পর্ক গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। আমাকে পাত্তা না দিয়ে, উল্টো বলছেন আমি তাকে ব্লাকমেইল করছি। অথচ তার পারিবারিক সমস্যা সামাল দিতে তিনি নিজেই আমাকে ব্যবহার করেছেন। আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন।’

অন্যদিকে, জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন (হীরা) শুক্রবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপে দেশের প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমকে জানান, লিজা তার আত্মীয় এবং পারিবারিক যোগাযোগ থেকেই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে ওই নারী তাকে ঘনিষ্ঠ করে নানা সময়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন এবং পরে ব্লাকমেইল শুরু করেন।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতি মাসে আমাকে টাকা দিতে হতো। বিভিন্ন সময়ে টাকা পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে, যার ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে। শেষমেশ তিনি আমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেন এবং বিয়েতে রাজি না হলে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেন।’

প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ও নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই ঘটনার ওই নারীর সাথে কথা কাটাকাটির পর বৃহস্পতিবার রাতেই আশরাফ উদ্দিন শরীয়তপুর ত্যাগ করেন।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। তবে তার অনুপস্থিতিতে কে দায়িত্ব পালন করছেন, তার কোনো অফিসিয়াল তথ্য মেলেনি।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত