দেশেই উৎপাদিত হবে বালাইনাশক, রপ্তানির নতুন সম্ভাবনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১: ৪৬

আর আমদানির ওপর নির্ভরতা নয়— এখন থেকে দেশেই উৎপাদিত হবে সকল ধরনের বালাইনাশক ও কীটনাশক। এতে শুধু বিদেশনির্ভরতা কমবে না, নতুন করে রপ্তানির পথও খুলে যাবে বলে আশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে “স্থানীয়ভাবে বালাইনাশক উৎপাদন ও রপ্তানির দ্বার উন্মোচন” বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএমএ) নেতৃবৃন্দসহ ১১টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় সিদ্ধান্ত হয়—ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর থেকেও বালাইনাশক উৎপাদনের কাঁচামাল ও উপকরণ আমদানি, মূল্য নির্ধারণ এবং উৎপাদন তদারকি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে। এতে দেশে স্থানীয় শিল্প গড়ে উঠবে এবং কৃষি খাতে ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া বালাইনাশক উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের তালিকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো হবে— যাতে শুল্ক ও কর সুবিধা দেওয়া যায় এবং আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হয়।

বর্তমানে দেশের কীটনাশকের বাজার প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার, যার অধিকাংশই বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। স্থানীয় উৎপাদকদের অংশীদারিত্ব মাত্র ৪ শতাংশের মতো। খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চ শুল্কের কারণে স্থানীয় উৎপাদন পিছিয়ে আছে। শুল্কহার যৌক্তিকভাবে কমানো গেলে কৃষকদের কাছে পণ্য ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পর সরকার স্থানীয় উৎপাদনের দাবি বিবেচনায় নিয়েছে—এটি কৃষকবান্ধব ও জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত। যদি এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেয়, তবে আগামী দুই–তিন বছরের মধ্যেই দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এবং রপ্তানিও শুরু করা যাবে।

এ উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে, কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমবে এবং স্থানীয় শিল্পে কর্মসংস্থানও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত