কপ-৩০ সম্মেলনে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জলবায়ুু ঝুঁকি, বন উজাড় রোধ ও সুন্দরবন সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
সোমবার খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে জাগ্রত যুব সংঘ জেজেএস সেমিনারের আয়োজনে কপ-৩০ আউটকামস ফর কোস্টাল কমিউিনিটিস’ শীর্ষক আঞ্চলিক সংলাপে এ আহ্বান জানান তারা।
সংলাপে সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর করতে সরকার, এনজিও, গবেষক, যুবসমাজ ও গণমাধ্যমের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বলে অভিমত প্রকাশ করেন বক্তারা।
সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আক্তার হোসেন। প্যানেল আলোচনার মডারেটর ছিলেন- ড. সালমা বেগম এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউসুফ আল হারুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন- খুলনা জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. শরিফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাক উদ্দিন এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাজিদা আফরিন সিদ্দিকী।
আলোচনায় অংশ নেন- কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মশিউর রহমান, আমার দেশ ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন, দৈনিক কালের কণ্ঠ’র ব্যুরো চিফ এইচ এম আলাউদ্দিন, মাছরাঙা টেলিভিশনের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট আবু হেনা মোস্তফা জামাল পপলু, নিউ ন্যাশনের খুলনা করেসপন্ডেন্ট মো. মাসুম বিল্লাহ ইমরান, জেজেএস’র সিনিয়র ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) এম এম চিশতি, ইআরসিসি-২ প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর মো. মামুন অর রশিদ।
প্যানেল আলোচনায় ড. মো. আব্দুল্লাহ ইউসুফ আল হারুন উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা ও বর্তমান বাস্তবতা তুলে ধরে গবেষণাভিত্তিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন। এখন টেলিভিশনের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট তরিকুল ইসলাম কপ অভিজ্ঞতা ও কপ-৩১ এ বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন। অ্যাওসেড খুলনার টিম লিড মো. সালাহ উদ্দিন জলবায়ু তহবিল প্রাপ্তি ও সহজ প্রবেশাধিকার প্রসঙ্গে মত দেন।
অ্যাডামস ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আসিক মাহমুদ বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিলে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার এবং স্থানীয় সংগঠন ও যুবদের সক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। গ্রিনম্যান এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট মো. আল ইমরান খান রাব্বি বলেন, নদীভাঙন, জীবিকার সংকট ও সুযোগের অভাবে উপকূলীয় এলাকায় যুব অভিবাসন বাড়ছে। ফান্ডিং প্রসেস ও ডকুমেন্টেশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুবদের প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রয়োজন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তারা লবণাক্ততা মোকাবিলা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক জলাধার বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞানভিত্তিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একই সঙ্গে বন উজাড় রোধ ও সুন্দরবন সংরক্ষণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে দাকোপ ও কয়রা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রতিনিধি, এনজিও কর্মী এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

