আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

রাতে চরে ঘুরে ঘুরে অসহায়দের কম্বল দিলেন ইউএনও

উপজেলা প্রতিনিধি, গঙ্গাচড়া (রংপুর)

রাতে চরে ঘুরে ঘুরে অসহায়দের কম্বল দিলেন ইউএনও
ছবি: আমার দেশ।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তীব্র শীতের কারণে চরম দুর্ভোগে আছেন তিস্তা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ। খোলা চর, নদীর হিমেল বাতাস এবং পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে গভীর রাতে তিস্তা চরাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজীবুল করিম। তারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা, গুচ্ছগ্রামের দরিদ্র পরিবার, বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীসহ দুর্গম চরগ্রামের দরিদ্র মানুষদের হাতে কম্বল তুলে দেন।

বিজ্ঞাপন

চর মটুকপুর গ্রামের আরতী রানী বলেন, হাতে-পায়ে রাতের শীতে প্রচণ্ড ব্যথা হতো। কেউ ভেবেও আসে না, এমন রাতে কেউ আমাদের জন্য কম্বল নিয়ে আসবে। ইউএনও দিদি এসে কম্বল দিয়েছেন, এখন খুব শান্তি লাগতেছে।

একজন মধ্যবয়সী মহিলা মোহছেনা বানু জানালেন, ‘আমাদের পরিবারে সবাই শীতের কারণে কষ্টে ছিল। এখন কম্বল পেয়ে রাতে ঘুমানো অনেক সহজ হয়ে গেছে।’

বিনবিনা চর আলোমগীর বলেন, ‘এই শীতডা অনেক কঠিন। হাতে-পায়ে বরফ জমে যাইত, কম্বল পাইয়া অনেক আরাম লাগল।’

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বরাদ্দ সীমিত হলেও প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। ইউএনও জেসমিন আক্তার বলেন, তিস্তা চরের মানুষ শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে। বরাদ্দ কম হলেও আমরা চাই, যেন কেউ শীতের কারণে অসহায় না থাকে। গভীর রাতে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল তাদের শীতের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করা।

স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, প্রশাসনের এই মানবিক উদ্যোগ শীতকালে তাদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমাবে এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের সহায়তা চালু থাকবে।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন