গাজায় দখলবাজ ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীসহ ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর আগে সোমবার তৌহিদী জনতার মিছিলে মিশে কেএফসি-বাটায় ভাঙচুর চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
আটককৃতরা হলেন- কাজীটুলা এলাকার রাজন (১৯), একই এলাকার ইমন (১৯), রাকিব (১৯), মিজান আহমদ (৩০), আব্দূল মোতালেব (৩৫), সাব্বির আহমদ (১৯), জুনাইদ আহমদ (১৯), রবিন মিয়া (২০), মোস্তাকিন আহমদ তুহিন (১৯), দেলোয়ার হোসেন (৩০), রিয়াদ (২৪), তুহিন (২৪), আল নাফিউ (১৯) এবং সৈয়দ আল আমিন তুষার (২৯)।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, বিক্ষোভ মিছিলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক মিশে কেএফসি, বাটা, ইউনিমার্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকা ১৪ জনকে আটক করে।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা সাপেক্ষে ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জুতা বিক্রির পোস্ট দিয়ে আটক মামুনুল
সিলেটে বাটার শো-রুম থেকে লুণ্ঠিত জুতা ফেসবুকে পোস্ট দেয় এক লুণ্ঠনকারী। ফেসবুকে সে কয়েক জোড়া জুতা বিক্রির কথা উল্লেখ করে। ফেসবুকে পোস্ট দেখে কোতোয়ালি পুলিশ ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে নগরের শিবগঞ্জের সাদিপুর এলাকা থেকে ওই পোস্টকারী মামুনকে আটক করে। সে সাদিপুর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।
লুণ্ঠিতকারী নারী নিয়ে বিভ্রান্তি
নগরীর মিষ্টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের সময় লম্বা চুলওয়ালা এক তরুণীর মতো একজনকে দেখা যায় যে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ধারণা করা হয়েছিল লুটপাটকারীদের সহযোগী ও ছাত্রলীগ নেত্রী। কিন্তু খোঁজ-খবর নিয়ে ও তাঁর ছবি বিশ্লেষণ করে জানা গেছে তরুণীর মতো দেখা গেলেও সে আসলে তরুণী নয়-সে লম্বা চুলওয়ালা এক তরুণ। যদিও তার নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

