
উপজেলা প্রতিনিধি, বোয়ালমারী (ফরিদপুর)

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৭ নভেম্বর বিপ্লবী ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আশপাশের ১০ থেকে ১২টি দোকানপাটও ভাঙচুরের শিকার হয়।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের মধ্যে। সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন ও মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে।
বিপ্লবী ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দু’গ্রুপই পৃথক র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে। একদল ওয়াপদা মোড়ের হারুন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি নেয়, অন্য দল চৌরাস্তা এলাকায় সমাবেশ আয়োজন করে।
বিকেলে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা যখন এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন, তখন উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে ওয়াপদা এলাকায় ঝুনু সমর্থিতদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এসময় বিক্ষুব্ধরা আশপাশের আট থেকে ১০টি দোকান ভাঙচুর করে এবং ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এ ধ্বংসযজ্ঞে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে অফিস ও দোকানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন, অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষুব্ধদের বাধার মুখে ফিরে আসতে হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন— উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনাজুর রহমান লিপন, লিয়াকত মোল্লা, রফিকুল ইসলাম, টিটু, জব্বার, ইমদাদুল হক, লাভলুসহ অন্তত ২৫ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ‘হাসপাতালে সাতজন আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু অভিযোগ করে বলেন, ‘নাসির গ্রুপের সমর্থকরা বহিরাগত লোক এনে আমাদের অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে আগুন দেয়।’
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুনু মিয়ার সমর্থকরা উস্কানি দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে লোক ভাড়া করে এনেছিল।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন বিশৃঙ্খলা হবে তা কেউ ভাবেনি। প্রশাসন ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৭ নভেম্বর বিপ্লবী ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আশপাশের ১০ থেকে ১২টি দোকানপাটও ভাঙচুরের শিকার হয়।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের মধ্যে। সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন ও মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে।
বিপ্লবী ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দু’গ্রুপই পৃথক র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে। একদল ওয়াপদা মোড়ের হারুন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি নেয়, অন্য দল চৌরাস্তা এলাকায় সমাবেশ আয়োজন করে।
বিকেলে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা যখন এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন, তখন উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থকরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে ওয়াপদা এলাকায় ঝুনু সমর্থিতদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এসময় বিক্ষুব্ধরা আশপাশের আট থেকে ১০টি দোকান ভাঙচুর করে এবং ১৫টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এ ধ্বংসযজ্ঞে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে অফিস ও দোকানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন, অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালান।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষুব্ধদের বাধার মুখে ফিরে আসতে হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন— উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনাজুর রহমান লিপন, লিয়াকত মোল্লা, রফিকুল ইসলাম, টিটু, জব্বার, ইমদাদুল হক, লাভলুসহ অন্তত ২৫ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ‘হাসপাতালে সাতজন আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু অভিযোগ করে বলেন, ‘নাসির গ্রুপের সমর্থকরা বহিরাগত লোক এনে আমাদের অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে আগুন দেয়।’
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঝুনু মিয়ার সমর্থকরা উস্কানি দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে লোক ভাড়া করে এনেছিল।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এমন বিশৃঙ্খলা হবে তা কেউ ভাবেনি। প্রশাসন ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’

ফেনীতে যুবদল নেতার বাড়ি থেকে ভারতীয় চোরাই পণ্যের চালান জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩৭ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে আবারো প্রকাশ্যে রক্ত ঝরলো। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে থানার চুনা ফ্যাক্টরি মোড়ের শাপলা আবাসিক এলাকার সামনে মো. আকবর (৩০) নামে এক স্থানীয় কাঁচাপণ্যের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
ছয় মাস প্রেমের পর দেড় মাস আগে বিয়ে করেন মেয়েটিকে। সংসার শুরু করেছিলেন নতুন করে। ভালো মানুষ হয়ে, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রত্যয়ে। কিন্তু সেই পথ শেষ হলো হঠাৎই! গত ৫ নভেম্বর প্রতিপক্ষের গুলিতে নিথর হয়ে গেলেন বাবলা।
৩ ঘণ্টা আগে
তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের মতামতকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে ভুল জায়গায় এমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এই কাজী সালাউদ্দিন রাজনৈতিক জীবনে কখনো পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়নি, এমনকি জেল ও খাটেনি। কেন্দ্রের চাপিয়ে দেওয়া এই কাজী সালাউদ্দিন ফ্যাসিস্ট
৪ ঘণ্টা আগে