অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন, কনস্টেবল অমি দাশ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১০: ৩২
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৪১

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের দেয়া বক্তব্য ফাঁসের অভিযোগে অমি দাশ নামের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে খুলশী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অমি দাশ পুলিশের টেলিকম ইউনিটের সদস্য। প্রেষণে তিনি খুলশী থানায় কর্মরত ছিলেন। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায়। বাবার নাম রাজিব দাশ।

সিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, কমিশনারের সংবেদনশীল নির্দেশ গোপন রাখার কথা থাকলেও সেটি বাইরে চলে আসায় প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অস্বস্তি তৈরি হয়। পরে একাধিক টিম তদন্তে নামে এবং অমি দাশকে শনাক্ত করা হয়।

সেদিন কী ঘটেছিল? গত ১১ আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরের সল্টগোলা ক্রসিং–ইশান মিস্ত্রি হাট এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এতে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন।

পরদিন রাতে কমিশনার হাসিব আজিজ ওয়্যারলেসে সিএমপির সব ইউনিটকে উদ্দেশ করে কড়া নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি থানার মোবাইল পার্টি, পেট্রোল পার্টি, ডিবি টিম ও চেকপোস্ট পার্টি লাইভ অ্যামুনিশন ও অস্ত্রসহ ডিউটিতে যাবে। কেবল রাবার বুলেট দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ টহল দলের সামনে কেউ অস্ত্র বের করলে তা ধারালো হোক বা আগ্নেয়াস্ত্র গুলির মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে হবে। আত্মরক্ষার অধিকার ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি পুলিশ সদস্যের আছে। সরকারি গুলির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

কমিশনার হাসিব আজিজ ওয়্যারলেসের নির্দেশনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শীর্ষ পর্যায়ে সমালোচনা শুরু হয়। গোপনীয় বার্তা কীভাবে বাইরে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরবর্তীতে তদন্তে দেখা যায়, খুলশী থানায় কর্মরত কনস্টেবল অমি দাশই ওয়্যারলেস বার্তাটি রেকর্ড করে বাইরে ছড়িয়ে দেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত