কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত মাহবুব জিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত রোববার বিকেলে উপজেলার চরকাওনা মুনিয়ারীকান্দা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি।
নিহত মাহবুব জিয়া উপজেলার চরকাওনা মুনিয়ারীকান্দা গ্রামের মৃত ছলিম মাস্টারের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে একই গ্রামের ইলিয়াছ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৫জনের নাম উল্লেখ করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মাহবুব জিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী ইলিয়াছ মিয়া গংদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত রোববার বিকেলে মাহবুব জিয়া তালতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইলিয়াছের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্রা নিয়ে তার পথরোধ করে। এসময় ইলিয়াছ ও অন্যান্য বিবাদীরা তাকে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। এসময় মাহবুব জিয়ার চিৎকারে রফিক ও সায়িম নামে দুজন এগিয়ে এলে বিবাদীরা তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। মাহবুব জিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.মোবারক হোসেন বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের জন্য আবেদন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

