আমি মুক্তিযোদ্ধা, সেফ এক্সিট আমার জন্য নয়: ফারুক ই আজম

বরিশাল অফিস
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫১
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ২৭

“আমি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা, তাই সেফ এক্সিট আমার জন্য নয়। আমি এ দেশেই থাকবো” বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

রোববার সকাল ১১ টায় বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় তিনি আরো বলেন, দেশের শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। টাইফয়েডের মতো প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধে সরকারের এই উদ্যোগ ঐতিহাসিক।

তিনি বলেন, রোগ হওয়ার পর চিকিৎসা নয়, আগে থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

এরপরে দুপুর সাড়ে ১২ টায় বরিশাল জিলা স্কুল টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

বরিশাল বিভাগে ২৬ লাখ ১৪ হাজার শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কায়ছার, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডলসহ অনন্য নেতৃবৃন্দ।

১২ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। পথশিশুরাও এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে এই টিকা, যা সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন সহায়তা সংস্থা গ্যাভির সহযোগিতায়।

সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং নেপাল ও পাকিস্তানসহ আটটি দেশে সফলভাবে ব্যবহার হয়েছে।

সরকারের লক্ষ্য—এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া। ইতোমধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু নিবন্ধন করেছে। নিবন্ধন ছাড়াও সরাসরি টিকাকেন্দ্রে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় টিকা নেওয়া যাবে। জন্মসনদ না থাকলেও শিশুরা এই টিকা পাবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম ১০ দিন টিকাদান চলবে, পরবর্তী ৮ দিন ইপিআই সেন্টারে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত