পানের বাম্পার ফলনেও মুখে হাসি নেই চাষিদের

উপজেলা প্রতিনিধি, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৫২

বরগুনার আমতলীতে এবার পানের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ প্রান্তিক চাষিরা। ভরা মৌসুমেও পান বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না তারা। এতে অনেকেই লোকসানের মুখে পড়েছেন।

বিজ্ঞাপন

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজারের বেশি পানচাষি রয়েছেন। চলতি মৌসুমে ১০৭ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চাওড়া, গুলিশাখালী, কুকুয়া ও আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নে পানের আবাদ বেশি।

চাষিদের অভিযোগ, শ্রমিকের মজুরি, বাঁশের শলা, খৈল ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে গেলেও পান বিক্রি করতে হচ্ছে পানির দামে। আগে যেখানে এক পাই (২৪ চল্লি) পান বিক্রি হতো এক হাজার টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০০ টাকায়।

স্থানীয় পানচাষি দুলাল মাদবর ও রাজিব কাজী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার পানের দাম অনেক কম। খরচও বেশি। এখন পানের বিক্রির টাকায় দিনমজুরের মজুরি দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

তাদের অভিযোগ, পাইকারদের ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা বাধ্য হয়ে লোকসানে পান বিক্রি করছেন। অন্যদিকে পাইকারদের দাবি, বাজারে বর্তমানে পানের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক কম। ফলে ক্রয়মূল্যও কমে গেছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাসেল বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকে পানের ফলনে যেন কোনো সমস্যা না হয়। এবার ফলন ভালো হয়েছে, কিন্তু বাজারে দাম কম। যদি এখান থেকে অন্যত্র পান রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়, তাহলে চাষিরা ভালো দাম পাবেন।

স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন, বাজারে সিন্ডিকেট ভেঙে এবং রপ্তানির সুযোগ তৈরি হলে তারা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তারা। অন্যথায় লোকসান গুনতে হবে প্রান্তিক চাষিদের।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত