পায়রার ভাঙন থেকে গ্রাম রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

উপজেলা প্রতিনিধি, দুমকি (পটুয়াখালী)
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৪: ২৯

পটুয়াখালীর দুমকিতে পায়রা নদীর ভাঙন রোধ ও আলগী গ্রাম রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ। নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমিসহ শতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙনরোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।

বিজ্ঞাপন

১৬ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের পায়রা নদীর পাড়ে এ মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টি পটুয়াখালী জেলার সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন, ইউপি সদস্য সরোয়ার শিকদার, সাবেক ইউপি সদস্য সুলতান তালুকদার, স্থানীয় বাসিন্দা জাকির বিশ্বাস, মো. সুমন হাওলাদার, প্রেস ক্লাব দুমকির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক জসিম উদ্দিন, মাওলানা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ইতোমধ্যে আলগী গ্রামের বেশির ভাগ পায়রা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পায়রা নদীর স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় লেবুখালী থেকে আলগী গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার ওয়াপদা বেঁধে ভেঙে যাওয়ায় পুরো আলগী গ্রামে ভাঙনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙ্গন-কবলিত এলাকার পরিবারগুলোর নারী, পুরুষ, শিশু-কিশোররা নিজেদের মালামাল বহন করে কাছের সরকারি রাস্তার ওপর স্তূপ করে রাখছেন। নদীভাঙনে অন্তত শতাধিক পরিবার এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, বিগত ৫-৬ বছরে পায়রা নদীর ভাঙনে অন্তত শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, বাগান, করবস্থান, মসজিদ, মন্দির, ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসেনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. এজাজুল হক বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। তারা আমাকে জানিয়েছেন এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে দু-একদিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, নদীভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত