মির্জাগঞ্জে ইয়ার উদ্দিন খলিফা (র.) দরবারের মাহফিল শুরু

উপজেলা প্রতিনিধি, (মির্জাগঞ্জ) পটুয়াখালী
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৫, ১৬: ১৯

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুফি সাধক পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা (র.) মাজার শরীফে দু’দিনব্যাপী মাহফিল শুরু হয়েছে।

রোববার শুরু হয়ে আগামী মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পরে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবছরের মত এবারও ব্যাপক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাত থেকে আট লাখ ধর্মপ্রাণ লোক সমাগমের মুসলিম উম্মাহর দেশের অন্যতম বৃহৎ মিলন মেলাটি। এই বছর পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সভাপতিত্বে মির্জাগঞ্জ হযরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা (র.) মাজার শরীফ ওয়াকফ স্টেটের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।

এর পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ছিল সভাপতির দায়িত্বে। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন ইয়ার উদ্দিন খলিফা ছাহেব (র.) এর খাদেম মরহুম গগন মল্লিকের দৌহিত্র মো. শহিদুল ইসলাম ফয়সাল মল্লিক।

আমার দেশকে তিনি জানান, মাজার ও দরবার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৪৬টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও অসুস্থ মুসুল্লিদের জন্য চিকিৎসা ক্যাম্প এবং একটি অভিযোগ কেন্দ্র খোলা রয়েছে। দু’দিনের মাহফিলের প্রথম দিনে ওয়াজ নসিহত করবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা মুফাসসিরে কুরআন হযরত মাওলানা ক্বারী আব্দুর রহিম আল মাদানী, দ্বিতীয় দিনে ওয়াজ-নসিহত পেশ করবেন মুফাসসিরে কুরআন খ্যাতিনামা বক্তা হযরত মাওলানা মো. মোফাজ্জল হোসেন আব্বাসী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন বিশিষ্ট ইসলামী স্কলার লেখক ও গবেষক হযরত মাওলানা এম. হাসিবুর রহমান।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইতোমধ্যে মাহফিলের প্রধান গেইট রঙিন কাপড় মুড়িয়ে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে সুসজ্জিত করা হয়েছে। বক্তা ও অতিথিদের জন্য মঞ্চ এবং বিশাল প্যান্ডেল করা হয়েছে। প্যান্ডেলের পূর্ব দিকে কয়েকশত অস্থায়ী স্টল স্থাপন করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নানান মজাদার খাবার, বাহারী খেলনা, প্রসাধনীসহ হরেক রকমের ব্যবহারিক জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে এ সকল স্টলে।

স্থানীয় মো. রাজিব হোসেন রাজু জানান, এখানে প্রতিবছর ২৪ ও ২৫ ফাল্গুন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেম-ওলামাগণ ওয়াজ নসিয়ত করেন। মাহফিল শুরুর দিন সকাল থেকে দলে দলে লাখ লাখ মানুষ আসা যাওয়া করে, প্যান্ডেলে সারি সারি লোক বসে ওয়াজ শোনে।

আরো জানা যায়, এই মাজারের রয়েছে বিশেষ কিছু স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য। মাজার জিয়ারত করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অগণিত ভক্ত এখানে ছুটে আসেন প্রতিদিন। মাহফিলের দু’দিনে গোটা মির্জাগঞ্জ উপজেলার মানুষ বলতে গেলে নির্ঘুম রাত্র কাটায়। ঈদ উৎসবের মতো আনন্দ ভাগাভাগিতে মেতে ওঠে সকলে।

প্রতিবছরের মত সড়কপথ, নদীপথে অসংখ্য ও অগণিত যানবাহন চলাচলের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসমূহের কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে নিরাপত্তা,সুরক্ষা ও সেবা দানের জন্য।

মির্জাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামীম হাওলাদার বলেন, মাহফিল যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সেবার মানসিকতায় প্রস্তুত থাকবে‌। এ বছর রমজান মাসে মাহফিল, তাই ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের ইফতার ও সেহরিতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত