
মাইনুদ্দিন আল আতিক, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)

ইলিশের খোঁজে আবারও গভীর সমুদ্রে নেমেছে উপকূলের হাজারো জেলে। টানা বৈরী আবহাওয়ার কারণে সপ্তাহজুড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে অলস সময় কাটানোর পর সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ট্রলারগুলো বঙ্গোপসাগরে যাত্রা করেছে। আশায় বুক বাধছেন জেলেরা এবার মিলবে ঝাঁকে ঝাঁকে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।
৫৮দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকেই সমুদ্র উত্তাল থাকায় জেলেরা ভরা মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ শিকার করতে পারেননি। জেলেদের ভাষায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও যেন ‘প্রাকৃতিক নিষেধাজ্ঞা’ জারি ছিল। ফলে আশানুরূপ মাছ না পেয়ে হতাশায় ভুগছিলেন উপকূলের হাজারো জেলে পরিবার।
গত ১৭ আগস্ট থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। প্রচণ্ড ঢেউয়ের তাণ্ডবে ট্রলারগুলো উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নেয়। দেশের অন্যতম মৎস্যবন্দর মহিপুর-আলিপুরের খাপড়াভাঙ্গা নদীতে নোঙর করে অবস্থান নেয় কয়েক হাজার ট্রলার। সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে জেলেরা ঘাটেই আটকে ছিলেন।
এ সময় বেশ কয়েকটি ট্রলার সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়। অধিকাংশ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে তিনজনের লাশ কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে আসে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুই জেলে। পরিবারগুলো জীবিত ফেরার আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষা করছে লাশের।
যদিও সোমবার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপযোগী হয়ে উঠেছে, তারপরও প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে বেশকিছু ট্রলিং ট্রলার যেতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে, বেহুন্দি জাল ও উইঞ্চ ব্যবহারকারী কয়েকটি ট্রলার সমুদ্রে প্রবেশ করেছে।
এফ.বি. তামান্না ট্রলারের মাঝি ইউনুচ মিয়া বলেন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় ঘাটে ফিরে আসতে হয়েছিল। সপ্তাহখানেক অলস সময় কাটানোর পর আবার যাচ্ছি। মাছ পেলে ভালো, না পেলে স্টাফদের ধরে রাখাই মুশকিল হবে।
ট্রলিং ট্রলারের মাঝি একলাছ গাজী বলেন, প্রশাসনের নজরদারির কারণে সমুদ্রে যেতে পারছি না। মালিকরা অন্য জাল দিতে পারছেন না। তাই ঘাটেই বসে আছি।
কলাপাড়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন মাঝি বলেন, উপকূলের প্রায় সব ট্রলার এখন সমুদ্রে গেছে। আশা করি জেলেরা ভালো মাছ নিয়ে ফিরবে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, গত কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা সমুদ্রে যেতে পারেননি। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলেরা গভীর সমুদ্রে গেছে। আশা করা যায় আশানুরূপ ইলিশের ধরা পড়বে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী বুধবার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকবে। তবে ২৮ আগস্ট নতুন করে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত জেলেদের উপকূলের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার পর ইলিশ মৌসুম ঘিরে আবারও আশার আলো দেখছেন উপকূলের জেলেরা। তবে বৈরী আবহাওয়ার পুনরাবৃত্তির কারণে তাদের প্রত্যাশা কতটা পূরণ হবে সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা।

ইলিশের খোঁজে আবারও গভীর সমুদ্রে নেমেছে উপকূলের হাজারো জেলে। টানা বৈরী আবহাওয়ার কারণে সপ্তাহজুড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে অলস সময় কাটানোর পর সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ট্রলারগুলো বঙ্গোপসাগরে যাত্রা করেছে। আশায় বুক বাধছেন জেলেরা এবার মিলবে ঝাঁকে ঝাঁকে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।
৫৮দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকেই সমুদ্র উত্তাল থাকায় জেলেরা ভরা মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ শিকার করতে পারেননি। জেলেদের ভাষায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও যেন ‘প্রাকৃতিক নিষেধাজ্ঞা’ জারি ছিল। ফলে আশানুরূপ মাছ না পেয়ে হতাশায় ভুগছিলেন উপকূলের হাজারো জেলে পরিবার।
গত ১৭ আগস্ট থেকে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে। প্রচণ্ড ঢেউয়ের তাণ্ডবে ট্রলারগুলো উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীতে নিরাপদ আশ্রয় নেয়। দেশের অন্যতম মৎস্যবন্দর মহিপুর-আলিপুরের খাপড়াভাঙ্গা নদীতে নোঙর করে অবস্থান নেয় কয়েক হাজার ট্রলার। সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে জেলেরা ঘাটেই আটকে ছিলেন।
এ সময় বেশ কয়েকটি ট্রলার সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়। অধিকাংশ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে তিনজনের লাশ কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে আসে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুই জেলে। পরিবারগুলো জীবিত ফেরার আশা ছেড়ে দিয়ে অপেক্ষা করছে লাশের।
যদিও সোমবার থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপযোগী হয়ে উঠেছে, তারপরও প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে বেশকিছু ট্রলিং ট্রলার যেতে পারেনি। অভিযোগ রয়েছে, বেহুন্দি জাল ও উইঞ্চ ব্যবহারকারী কয়েকটি ট্রলার সমুদ্রে প্রবেশ করেছে।
এফ.বি. তামান্না ট্রলারের মাঝি ইউনুচ মিয়া বলেন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় ঘাটে ফিরে আসতে হয়েছিল। সপ্তাহখানেক অলস সময় কাটানোর পর আবার যাচ্ছি। মাছ পেলে ভালো, না পেলে স্টাফদের ধরে রাখাই মুশকিল হবে।
ট্রলিং ট্রলারের মাঝি একলাছ গাজী বলেন, প্রশাসনের নজরদারির কারণে সমুদ্রে যেতে পারছি না। মালিকরা অন্য জাল দিতে পারছেন না। তাই ঘাটেই বসে আছি।
কলাপাড়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন মাঝি বলেন, উপকূলের প্রায় সব ট্রলার এখন সমুদ্রে গেছে। আশা করি জেলেরা ভালো মাছ নিয়ে ফিরবে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, গত কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা সমুদ্রে যেতে পারেননি। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলেরা গভীর সমুদ্রে গেছে। আশা করা যায় আশানুরূপ ইলিশের ধরা পড়বে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী বুধবার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকবে। তবে ২৮ আগস্ট নতুন করে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত জেলেদের উপকূলের কাছাকাছি থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার পর ইলিশ মৌসুম ঘিরে আবারও আশার আলো দেখছেন উপকূলের জেলেরা। তবে বৈরী আবহাওয়ার পুনরাবৃত্তির কারণে তাদের প্রত্যাশা কতটা পূরণ হবে সেটিই এখন সময়ের অপেক্ষা।

মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) জিয়া সাইবার ফোর্সের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কে,এম হারুন অর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকসহ ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহি কমিটি ঘোষনা দেন। ওই কিমিটির নির্বাহি সদস্য হিসেবে নূর আলমের নাম রয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নিখোঁজ মুফতি মুহিবুল্লাহর ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি জুমার নামাজে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন ইসকন নিয়ে বয়ান করে ছিলেন। এরপর থেকে তাকে হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি উড়ো চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে কথা বলেন। একপর্যায়ে বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
৫ ঘণ্টা আগে
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে নদী শাসন ও ভাঙনরোধ প্রকল্পের কাজে বাধার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয় নদীপাড়ের মানুষ এ মানববন্ধন করে।
৬ ঘণ্টা আগে
স্থানীয়রা জানান, আলমাস উপজেলার ৩ নম্বর চারিকাটা ইউনিয়নের নয়াখেল পূর্ব গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ছেলে। জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) সুইরঘাট বিওপির চার বিজিবি সদস্য দুটি মোটরসাইকেলযোগে চোরাইপণ্যবাহী একটি পিকআপকে ধাওয়া করেন। এ সময় বিজিবির ছোড়া গুলিতে আলমাস গুলিবিদ্ধ হন।
৭ ঘণ্টা আগে