নদীর ভাঙনে আবারও বিলীন ৪০০ ফুটের বেড়িবাঁধ

উপজেলা প্রতিনিধি, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৭: ৩৮

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার করমজাতলায় রাবনাবাদ নদীর তীব্র ভাঙনে আবারও বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ৪০০ ফুট বেড়িবাঁধ। মাত্র ছয় মাস আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা এই বাঁধটি জলোচ্ছ্বাসে বিলীন হয়ে যাওয়ায় চরম ঝুঁকিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মে মাসেই বাঁধের জিওব্যাগ ও টিউব ধসে পড়ে। সর্বশেষ শুক্রবারের জলোচ্ছ্বাসে রাবনাবাদের উত্তাল ঢেউয়ের তাণ্ডবে মূল বাঁধসহ রিভার সাইট নদীতে মিশে যায়। এর ফলে প্লাবনের আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. রেজাউল বলেন, জিওব্যাগ, জিওটিউবসহ প্রায় ৪০০ ফুট বাঁধ একেবারে নদীতে চলে গেছে। এখন বাঁধের মধ্য দিয়ে পানি ঢুকছে। যদি আরেকটা জলোচ্ছ্বাস হয়, তাহলে যা কিছু অবশিষ্ট আছে তাও থাকবে না।

বাঁধের পাশের বাসিন্দারা জানান, বছরের পর বছর ধরে নদী থেকে অব্যাহতভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে বালি উত্তোলণের কারণে ভাঙন ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার তথ্যমতে, ৫৪/এ পোল্ডারের ১৩.০০ কিমি থেকে ১৪.১২০ কিমি পর্যন্ত ১ হাজার ১২০ মিটার এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব বসিয়ে ভাঙনরোধে ইমার্জেন্সি প্রটেকশন নেওয়া হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা।

এই কাজের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী বিদ্যা রতন সরকার বলেন, মাটির সংকট ছিল, অনেক দূর থেকে মাটি এনে কাজ করা হয়েছে। কাজটি সাত মাস আগে শেষ হয়। তবে করমজাতলার স্পটটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। স্থায়ী প্রতিরক্ষার জন্য ব্লক দিয়ে কাজ করা জরুরি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, ওই জায়গাটি অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল। ভিতরে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, ফলে বিকল্পভাবে নতুন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। না হলে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

স্থানীয়রা এখন দ্রুত স্থায়ী ও কার্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাচ্ছেন। নয়তো করমজাতলার পুরো এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত