ভোলায় মাওলানা আমিনুল হক নোমানী (৫০) নিজ পুত্রের হাতে খুন হয়েছেন। হত্যার দায়ে নিহতের ছেলে মো. রেদওয়ান (১৭) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ভোলা সদর উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরিফুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর চর নোয়াবাদ এলাকায় নিজ বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হন মাওলানা নোমানী। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার পর থেকেই তদন্ত শুরু করে এবং অবশেষে হত্যার সঙ্গে জড়িত আসল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, বাবা-ছেলের দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্বই এ হত্যার মূল কারণ। রেদওয়ান পড়াশোনায় মেধাবী হলেও বাবা তার প্রতি কঠোর ছিলেন। এ কারণে ক্ষোভ জমতে থাকে।
এমনকি এর আগে দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন রেদওয়ান। পরে হত্যার পরিকল্পনা করে দারাজ থেকে একটি ধারালো চাকু ক্রয় করেন।
ঘটনার দিন রাতে রেদওয়ান তজুমদ্দিন থেকে ভোলায় এসে লুকিয়ে ছিলেন। এশার নামাজ শেষে মাওলানা নোমানী বাসায় ফিরে কম্পিউটারে কাজ করছিলেন। এসময় ছেলে তাকে দরজা খোলার জন্য ডাকেন। দরজা খোলার সাথে সাথেই ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করেন। গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নোমানী। এরপর রেদওয়ান ঘরের পিছন দিয়ে পালিয়ে যান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরো জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ তদন্তে সত্য উদঘাটিত হয় এবং অবশেষে রেদওয়ানকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত মাওলানা আমিনুল হক নোমানী ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ভোলা জেলা সেক্রেটারি, ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস এবং ভোলা সদর উপজেলা মসজিদের খতিব ছিলেন। তার মৃত্যুতে স্থানীয় আলেম সমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


মাওলানা নোমানীর খুনিদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম: সোমবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ